
প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ ২০২৫: মহাকুম্ভ ২০২৫ (Mahakumbh 2025)-এ দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা সঙ্গমে স্নান করেছেন। এইবার কুম্ভ একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে, তা হল কুম্ভে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের পুনর্মিলন। এই মহাকুম্ভে ৫০ হাজারেরও বেশি হারিয়ে যাওয়া মানুষকে ডিজিটাল খোয়া-পায়া কেন্দ্রের মাধ্যমে আবার পরিবারের সঙ্গে মিলিত করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এইবারের মহাকুম্ভে ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত সঙ্গম তীরে পুণ্য স্নানের জন্য এসেছিলেন, যা এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন বানিয়েছে।
ডিজিটাল খোয়া-পায়া কেন্দ্র (Digital Khoya Paya Kendra)-এৎ উদ্যোগ
মহাকুম্ভে ভক্তদের বিশাল ভিড়ের কারণে ৫৪,৩৫৭ জন তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি করা ডিজিটাল খোয়া-পায়া কেন্দ্রের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এদের মধ্যে বৃহৎ সংখ্যক মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে, মহাকুম্ভে 'ডিজিটাল খোয়া-পায়া কেন্দ্র' (AI-Based Digital Khoya Paya Kendra) স্থাপন করা হয়েছিল যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং (Machine Learning), এবং বহুভাষিক সমর্থন যেমন আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত ছিল। এই কেন্দ্রগুলি হারিয়ে যাওয়া ভক্তদের তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধান স্নান পর্বে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত করার পরিসংখ্যান
মহাকুম্ভের সময় বিভিন্ন স্নান পর্বে হারিয়ে যাওয়া ভক্তদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত করার কাজ চলতে থাকে।
বেসরকারি সংস্থাগুলি (NGOs) হারিয়ে যাওয়া মানুষদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ভারত সেবা কেন্দ্র (Bharat Seva Kendra) এবং হেমবতী নন্দন বাহুগুণা স্মৃতি সমিতির প্রচেষ্টায় ১৯,২৭৪ জন তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পেরেছেন। ভারত সেবা কেন্দ্রের 'ভুলে ভটকে ক্যাম্প' (Bhoole Bhatke Camp) -এর পরিচালক উমেশ চন্দ্র তিওয়ারির মতে, ১৮ জন হারিয়ে যাওয়া শিশুকেও তাদের পিতামাতার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মহাকুম্ভের শেষ দিনে মুজাফফরপুর, বিহারের কৃষ্ণা দেবী, রায়পুর, ছত্তিশগড়ের জঙ্গি দেবী, বাঁকে, নেপালের জগজন্নন ধরু, এবং সপ্তরী, নেপালের বিন্দি দেবী তাদের পরিবারের সঙ্গে সফলভাবে মিলিত হতে পেরেছেন।