
লখনউ। যোগী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের সম্পূরক বাজেটে আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সফল ও সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিলের প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাবটি পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের সাথে যুক্ত এবং এর উদ্দেশ্য হল নির্বাচনী প্রস্তুতি সময়মতো, স্বচ্ছ এবং কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা।
যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে গ্রামীণ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার শুধু নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার উপরই জোর দেয়নি, বরং পঞ্চায়েতের সাথে যুক্ত প্রশাসনিক এবং পরিকাঠামোগত কাঠামোকেও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে পঞ্চায়েতগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে। ২০২৫-২৬ সালের সম্পূরক বাজেটের অধীনে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং এর সাথে সম্পর্কিত প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার ফলে নির্বাচনী কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাবে।
সম্পূরক বাজেটে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিস ভবন নির্মাণের জন্য ২৪.৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা সম্ভব হবে।
যোগী সরকারের নজর রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা এলাকার গ্রামীণ অংশে পঞ্চায়েত উৎসব ভবন বা বারাত ঘর নির্মাণের দিকেও রয়েছে। এর জন্য প্রতীকীভাবে এক লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ সাশ্রয় খাত থেকে বহন করা হবে।
সম্পূরক বাজেটে শাহজাহানপুর জেলা পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণের জন্য এক কোটি টাকার প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের মতে, এই ভবনগুলো নির্মাণের ফলে পঞ্চায়েত স্তরে প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়বে।
এই ব্যবস্থাগুলোর ফলে গ্রামীণ এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠান এবং কার্যকলাপের জন্য স্থায়ী জায়গা পাওয়া যাবে। এর সাথে পঞ্চায়েতের ভূমিকা শক্তিশালী হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও মজবুত হবে। যোগী সরকারের বিশ্বাস, এই সম্পূরক বাজেট গ্রামীণ উন্নয়নে নতুন গতি আনবে।