
লখনউ। উত্তর প্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন (ইউপিপিসিএল) গ্রাহকদের উন্নত পরিষেবা এবং স্বচ্ছতা প্রদানের জন্য ব্যাপকভাবে স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে। রাজ্যে মোট ২.৭৩ কোটি স্মার্ট মিটার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষেরও বেশি স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। যোগী সরকার চায় প্রতিটি গ্রাহক যেন নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং আধুনিক বিদ্যুৎ পরিষেবা পান।
প্রায়শই বলা হয় যে স্মার্ট মিটার দ্রুত চলে এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ দেখায়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। স্মার্ট মিটার একেবারেই নিরাপদ এবং সঠিক। এতে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিটারে ব্যবহৃত হয়। পার্থক্য শুধু এই যে স্মার্ট মিটারের রিডিং এবং বিল পরিশোধ অনলাইনে হয়ে যায়, যার ফলে মানবিক ভুলের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
২০ আগস্ট রাজ্যজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানো হয়, যার অধীনে ৫৫০ টি স্মার্ট মিটার পরীক্ষা করা হয়। লখনউ এবং অন্যান্য জেলার অনেক গ্রাহকের মিটার পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় সব মিটার সঠিক পাওয়া যায় এবং কোথাও বেশি বিদ্যুৎ খরচ রেকর্ড হয়নি।
১৫ আগস্ট পর্যন্ত বসানো ৩৪ লক্ষেরও বেশি স্মার্ট মিটারের সাথে ১.৬৬ লক্ষেরও বেশি চেক মিটার বসানো হয়েছে। কোন গ্রাহকের সন্দেহ হলে তাদের বাড়িতে চেক মিটার বসানো যেতে পারে। পরীক্ষার রিপোর্টও গ্রাহকদের দেওয়া হয়।
স্মার্ট প্রিপেইড মিটারধারী গ্রাহকরা ইউপিপিসিএল স্মার্ট কনজিউমার অ্যাপে তাদের বিদ্যুৎ খরচ ঘণ্টায় ঘণ্টায় দেখতে পারেন। এতে তাদের বুঝতে সুবিধা হয় কোন যন্ত্রটি সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করছে। साथ ही, घर बैठे মিটার রিচার্জও করা যায়।
প্রিপেইড স্মার্ট মিটারধারী গ্রাহকরা বিদ্যুৎ খরচের উপর ২% ছাড় পান। ব্যালেন্স ৩০%, ১০% এবং ০% হলে এসএমএস সতর্কতা দেওয়া হয়। ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলেও গ্রাহকদের ৩০ দিনের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় না।
পাওয়ার কর্পোরেশন গ্রাহকদের ভুল বোঝাবুঝি এবং গুজব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যেমন মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এনেছে, তেমনি স্মার্ট মিটার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকদের ক্ষমতায়নের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।