‘বিকশিত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭’-এর লক্ষ্যে যোগী, ওবিসি শিক্ষায় ৮০,০০০ কোটির বরাদ্দ

Published : Sep 18, 2025, 06:49 PM IST
‘বিকশিত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭’-এর লক্ষ্যে যোগী, ওবিসি শিক্ষায় ৮০,০০০ কোটির বরাদ্দ

সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রী যোগী ‘বিকশিত ইউপি ২০৪৭’- লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, যেখানে গ্রামীণ শিক্ষা, ওবিসি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং পরিকাঠামোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ৮০,০০০ কোটি টাকার স্কলারশিপ, বিয়ের অনুদান, দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক হোস্টেল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০৪৭ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশকে ‘বিকশিত উত্তরপ্রদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার একটি স্বপ্নদর্শী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এই লক্ষ্যের ভিত্তি হলো গ্রামীণ যুবক, বিশেষ করে ওবিসি সম্প্রদায়ের জন্য উচ্চমানের শিক্ষা, পাশাপাশি গ্রামের পরিচ্ছন্নতা এবং পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা। সরকারের বিশ্বাস, আগামী ২২ বছরে এই ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক অগ্রগতি উত্তরপ্রদেশকে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এবং ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় একটি নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে।

এই লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, পিছড়া বর্গ কল্যাণ বিভাগ (Pichda Varg Kalyan Department) ওবিসি সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে, যা রাজ্যের জনসংখ্যার ৫২%-এরও বেশি। গত আট বছরে, এই বিভাগ ওবিসি কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ সালেই, ৩২.২২ লক্ষ ওবিসি পড়ুয়া স্কলারশিপ এবং ফি পরিশোধের সুবিধা পেয়েছে। এই সময়ে মোট ২.০৭ কোটি পড়ুয়া ১৩,৫৩৫.৩৩ কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছে, যা পূর্ববর্তী সরকারের খরচ করা ৪,১৯৭ কোটি টাকার চেয়ে চারগুণ বেশি। এটি ওবিসি ক্ষমতায়নে যোগী সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

বিভাগের লক্ষ্য হল ২০৪৭ সালের মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি ওবিসি পড়ুয়াকে ৮০,০০০ কোটি টাকার স্কলারশিপ এবং ফি পরিশোধের সুবিধা প্রদান করা, যার মাধ্যমে শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা হবে। এই পদক্ষেপ গ্রামীণ ওবিসি যুবকদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সাহায্য করবে।

ওবিসি সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মেয়েদের জন্য, ‘শাদী অনুদান যোজনা’ একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে উঠে এসেছে। গত আট বছরে, ৬.১ লক্ষ মেয়ের বিয়েতে সহায়তার জন্য ১,২২১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, যেখানে পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে মাত্র ২.৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীর জন্য ৩৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল।

যোগী সরকার এখন এই অনুদান ২০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০,০০০ টাকা করার কথা ভাবছে, যার লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ২৪ লক্ষ মেয়েকে ১৪,৪০০ কোটি টাকার সুবিধা দেওয়া। এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র ওবিসি পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করবে না, বরং সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং মেয়েদের মর্যাদা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রদান করবে।

পিছড়া বর্গ কল্যাণ বিভাগ দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের অধীনে, গত আট বছরে ১,৩৯,৬৯৮ জন ওবিসি যুবক CCC এবং O-লেভেল প্রশিক্ষণ পেয়েছে, যা হাজার হাজার যুবককে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি পেতে সক্ষম করেছে। গ্রামীণ ওবিসি যুবকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করতে এবং তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে এই পদক্ষেপটি গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪৭ সালের মধ্যে ১১ লক্ষ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং ৩,৮৫০ কোটি টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এই বিভাগের। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে না, বরং ওবিসি সম্প্রদায়কে ডিজিটাল যুগে এগিয়ে যেতেও সাহায্য করবে।

২০৪৭ সাল পর্যন্ত ওবিসি হোস্টেলগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যাতে আরও বেশি ওবিসি পড়ুয়ারা বিনামূল্যে থাকার সুবিধা পেতে পারে। গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগের অভাব দূর করতে এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত জরুরি। নতুন হোস্টেলের সুবিধাগুলি ওবিসি পড়ুয়াদের আরও ভালো পরিবেশে পড়াশোনা করার সুযোগ দেবে, যা ‘বিকশিত উত্তরপ্রদেশ’ লক্ষ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভাগটি প্রতিটি জেলায় ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য আধুনিক হোস্টেল স্থাপন করার লক্ষ্য রাখে, যাতে শিক্ষা নাগালের বাইরে না থাকে।

গ্রামীণ শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং পরিকাঠামো শক্তিশালী করার মাধ্যমে ওবিসি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে। গত আট বছরে, শিক্ষা, বিবাহ এবং কর্মসংস্থানে এই বিভাগের অগ্রগতি ওবিসি কল্যাণের জন্য একটি মাইলফলক। স্কলারশিপ, বিয়ের অনুদান এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মতো প্রকল্পগুলি ওবিসি যুবক ও মেয়েদের নতুন দিশা দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে, এই প্রচেষ্টাগুলি ওবিসি সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধ করবে এবং উত্তরপ্রদেশকে জাতীয় উন্নয়নে একটি অগ্রণী রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও দিব্যাঙ্গ ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) নরেন্দ্র কাশ্যপ বলেছেন যে গ্রামীণ এলাকায় ওবিসি সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ। পিছড়া বর্গ কল্যাণ বিভাগের এই উদ্যোগগুলি শুধুমাত্র ওবিসি যুবকদের সুযোগ দিচ্ছে না, গ্রামীণ অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করছে। ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্য তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন ওবিসি সম্প্রদায় শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক সুরক্ষায় সমান সুযোগ পাবে। এই বিভাগের লক্ষ্য ওবিসি সম্প্রদায়কে মূল স্রোতে নিয়ে আসা এবং উত্তরপ্রদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ করে তোলা।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

উত্তরপ্রদেশের বাচ্চাদের জন্য সুখবর, প্রতি জেলায় স্টেডিয়াম, ব্লকে মিনি স্টেডিয়াম
গোরক্ষনাথ মন্দিরে 'গোসেবা' অনুষ্ঠানে ময়ূরকে খাওয়ালেন যোগী আদিত্যনাথ