
মানুষের সৃজনশীলতা নতুন প্রযুক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সৃজনশীলতা শুধুমাত্র খাতায় কলমে আটকে নেই। যা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যা মানুষের চাহিদা পুরাণ করছে। মানুষের সাধ পুরাণ করছে। বেঁচে থাকার প্রাথমিক সরঞ্জাম থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, যা দেশকাল ভেদে সকলকে জুড়ে দিচ্ছে। নতুন পদক্ষেপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) - যা একটি শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তি। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই বিপ্লব তৈরি করেছে AI। AIএর প্রভাব পড়েছে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে। এবার সেই AI এর প্রভাব পড়তে চলেছে মানুষের যৌন জীবনে। চিনা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবীদরা AI চালিত সেক্স ডল তৈরি ওপর জোর দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের কথায় যে কোনও মানুষের যৌন জীবনে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
সাউথ চায়না মার্নিং পোস্টের মতে চিনা বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা প্রযুক্তিগত ও নৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখা হয়ে ইন্টারেক্টিভ, AI চালিত সঙ্গী তৈরির লক্ষ্য সেক্স রোবটগুলিকে ChatGPTর মত প্রযুক্তি দিয়ে আরও উন্নত ও আকর্ষক করছে। শেনজেনে, স্টারপেরি টেকনোলডি, সেক্স ডলের একটি প্রথম উৎপাদক। তারাও সেক্স ডলে AI প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। যার জন্য তারা নিজস্ব বড় ল্যাঙ্গুয়ে মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যার কারণে অভূতপূর্ব ক্ষমতা সম্পন্ন এই যৌন পুতুল, পুরুষ বা মহিলা আকারে তৈরি করছে। যা খুব তাড়াতাড়ি বিক্রির জন্য বাজারে আসবে।
সংস্থার সিইও ইভান লি এই মাসের শুরুর দিকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন,কারা এরটি পরবর্তী প্রজন্মের সেক্স ডল তৈরি করছে। যা ব্যবহারকারীদের অন্য ধরনের আনন্দ দেবে, কণ্ঠস্বর ও শারীরিকভাবে যোগাযোগ করতে পারবে। এই বছর অগস্ট মাসেই এই নতুন সেক্স ডল বাজারে আসতে পারে। প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে। বিশেষ করে বাস্তবসম্মত মানুষের মিথস্ক্রিয়া অর্জন করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, যদিও সহজ কথাবার্তা বলতে পারবে সেই সেক্স ডল। ইন্টারেক্টিভ প্রতিক্রিয়া তৈরিতে বিশেষ সফ্টওয়্য়ার কোম্পানিগুলির জটিল একটি মডেল তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ধাতব কঙ্কাল ও সিলিকনের বাইরের স্তর সহ প্রচলিত পুতুলগুলি শুধুমাত্র মৌলিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে পারে। এগুলি মানুষের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অভিব্যক্তিপূর্ণ ক্ষমতার অভাব রয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন প্রজন্মের সেক্স ডল , AI মডেলের মাধ্যমে চালিত হবে। সেন্সর দিয়ে সেটি সাজান হচ্ছে। সেটি নিজেথেকেই নাড়াচাড়া করতে পারে, কথা বলতে পারে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, শুধুমাত্র মৌলিক কথাবার্তার ক্ষমতা পরিবর্তে আবেগগত সংযোগের ওপরই বেশি জোর দিতে হয়।