Euthanasia Device: এই ডিভাইস কখন প্রয়োজন, কিভাবে কাজ করে এটি, জানুন বিস্তারিত

নানান ধরনের রোগী যারা মারাত্মক রোগে ভুগছেন এবং যাদের বাঁচার কোনও আশা নেই, তারা এই মেশিনের মাধ্যমে কোনও কষ্ট ছাড়াই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারবেন। 
 

Web Desk - ANB | Published : Dec 8, 2021 9:33 AM IST / Updated: Dec 08 2021, 03:07 PM IST

ইচ্ছামৃত্যু ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ নিল সুইস সরকার। সে দেশে সুইসাইড পড অর্থাৎ ইউথেনেশিয়া মেশিনকে আইনি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের পর ইচ্ছামৃত্যুর পথ আরও পরিষ্কার করা হল এবং উষ্কে দেওয়া হল বলে মত একাংশের। নানান ধরনের রোগী যারা মারাত্মক রোগে ভুগছেন এবং যাদের বাঁচার কোনও আশা নেই, এই মেশিনের মাধ্যমে কোনও কষ্ট ছাড়াই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা যাবে
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলছে মানুষ। তাদের মতে,  এই সিদ্ধান্ত আত্মহত্যার সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং সামান্য ইস্যুতেই মানুষকে ইউথেনেশিয়া-র দিকে নিয়ে যাবে। যারা এই আত্মহত্যার পড তৈরি করেছে তারা অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক সংস্থা এক্সিট ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ ফিলিপ নিটস্ককে জনসাধারণ বর্তমানে ডাঃ ডেথ বলে ডাকছে।
কখন ইচ্ছামৃত্যুর প্রয়োজন হয়, কীভাবে এই যন্ত্র মানুষকে হত্যা করে এবং এখন পর্যন্ত কীভাবে ইউথেনেশিয়া দেওয়া হত, জেনে নিন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর…
ইউথেনেশিয়া কখন প্রয়োজন?
ইউথেনেশিয়া মানে নিজের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। এটা প্রয়োজন হয় যখন জীবন মৃত্যুর চেয়ে বেশি বেদনাদায়ক হয়। ইউথেনেশিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় euthanasia। এই শব্দের উৎপত্তি গ্রীক ভাষা Euthanatos থেকে । এতে Eu মানে ভালো এবং Thanatos মানে মৃত্যু। এভাবেই উৎপত্তি ইউথেনেশিয়া-র। এটি দুই ধরনের, প্রথম সক্রিয় ইউথেনেশিয়া এবং দ্বিতীয় প্যাসিভ ইউথানেশিয়া। 
সক্রিয় ইউথানেশিয়ার অধীনে, ডাক্তারদের সাহায্যে রোগীর জীবন সরাসরি শেষ হয়ে যায়। একই সময়ে, প্যাসিভ ইউথেনেশিয়ার অধীনে, আত্মীয়-স্বজনদের অনুমতি নিয়ে, কোমা বা গুরুতর অবস্থায় একজন রোগীকে বাঁচানোর জন্য ডাক্তাররা ধীরে ধীরে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামগুলি বন্ধ করে দেন। এভাবে রোগীর মৃত্যু হয়।
'মৃত্যুর যন্ত্র' কীভাবে জীবন নেয়?
এটি প্রস্তুতকারী সংস্থা এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল বলছে, আমরা সুইসাইড পডের দুটি প্রোটোটাইপ তৈরি করেছি। এর নাম দেওয়া হয়েছে সারকো। এতে রোগীকে শুইয়ে দেওয়া হয়। এর পরে একটি বোতাম টেপার জায়গা থাকে। এটি প্রেস করলে, মেশিনের ভিতরে নাইট্রোজেনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে এবং ২০ সেকেন্ডের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা ২১ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে পৌঁছে যায়। ফলস্বরূপ, রোগী ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যায়। 
যখন এই যন্ত্র ছিল না তখন ইচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া কী ছিল?
আত্মহত্যার পডটি তৈরি করা সংস্থা এক্সিট ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ ফিলিপ বলেন, "এই নতুন মেশিনের মাধ্যমে ইউথানেশিয়া চাইছেন এমন রোগী আতঙ্কিত হবেন না৷ এখন পর্যন্ত ইচ্ছামৃত্যুর পদ্ধতি ভিন্ন ছিল। সুইজারল্যান্ডে ১৩০০ জনের ইচ্ছামৃত্যু হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত, ইউথানেশিয়া চাইছেন এমন রোগীদের তরল সোডিয়াম পেন্টোবারবিটাল ইনজেকশন দেওয়া হত। ইনজেকশন দেওয়ার ২ থেকে ৫ মিনিট পর রোগী গভীর ঘুমে চলে যায়। এরপর কোমায় গিয়ে রোগী মারা যেত। সংস্থাটি বলছে, এখন সুইসাইড ক্যাপসুলের সাহায্যে রোগীকে আরও সহজে মৃত্যু দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন- ডিসেম্বর ভারতে লঞ্চ করছে ৫ জি স্মার্টফোন মোটো জি৫১,১৯,৩০০ টাকায় মিলবে মোটোরোলার নতুন মডেল

আরও পড়ুন- গ্রহণের সময় পৃথিবী, মহাকাশ থেকে অবিশ্বাস্য ছবি তুলল নাসা

আরও পড়ুন- ভারতে শুরু হল মোটো জি ৩১-র প্রথম দিনের সেল,১২,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু এই ফোনের দাম

Share this article
click me!