দেশে প্রথমবার কন্ঠস্বর শুনে করা হবে কোভিড টেস্ট, কয়েক মুহূর্তেই মিলবে ফলাফল

  • কন্ঠস্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষা হতে চলেছে কোভিড১৯ এর
  • এক হাজার লোকের উপরে হবে এই সমীক্ষা
  • প্রযুক্তির সাহায্যে করোনার লক্ষণগুলি পরীক্ষা হবে
  • মাত্র কয়েক মুহূর্তেই মিলবে ফল

deblina dey | Published : Aug 20, 2020 8:13 AM IST / Updated: Aug 20 2020, 01:52 PM IST

দেশে প্রথমবারের মতো কন্ঠস্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষা হতে চলেছে কোভিড১৯ এর। বাণিজ্য নগরী মুম্বই-এর মহানগর পৌরসভা যথা বিএমসি, এক হাজার লোকের উপরে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে অ্যাপ ভিত্তিক প্রযুক্তির সাহায্যে করোনার লক্ষণগুলি পরীক্ষা করবে। এই সমীক্ষা করা হয়ে, অর্ধেক করোনা আক্রান্ত  এবং অর্ধেক করোনা রোগীদের মধ্যে।

বিএমসি-এর অ্যাডিশনাল কমিশনার সুরেশ কাকানি বলেছেন যে ইস্রায়েল ও আমেরিকাতে করোনার এই কৌশলেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হওয়া পাইলট প্রকল্পটি যদি সফল হয় তবে তা আরও কার্যকর করা হবে। ভোকালিস হেলথ আমেরিকান সংস্থা এই পরীক্ষাটি সম্পাদন করে। ইতি মধ্যে ভারতে পরিচালিত সংস্থা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং আইটি উভয় ক্ষেত্রে জড়িত। যে রোগীদের করোনা টেস্ট এর জন্য কন্ঠস্বর পরীক্ষা করা হবে তাদের আরটি-পিসিআর অর্থাৎ সোয়াবের সুরক্ষামূলক টিউবেও নমুনা নেওয়া হবে। উভয় পরীক্ষারই অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন করা হবে কোন পরীক্ষাটি আরও সঠিক এবং কোন পরীক্ষার ফলাফল তাড়াতাড়ি আসে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।

ভোকাল টেস্ট-এর এই পরীক্ষা ইতিমধ্যে ইস্রায়েল এবং আমেরিকাতে করা হচ্ছে। এটি করার পেছনে বিএমসির আত্মবিশ্বাস হ'ল করোনা আক্রান্তদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হয়। পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই পরীক্ষা নিখরচায় করা হবে। এই পরীক্ষার জন্য প্রযুক্তি ডিজাইনকারী সংস্থা ভোকালিস হেলথের প্রধান নির্বাহী টাল ভেন্ডরিও বলেছেন, "করোনার এই স্ক্রিনিং সলিউশনটি সফটওয়্যার ভিত্তিক। এর সার্ভার এবং ডেটা ব্যান্ডউইথ ক্ষমতাটি এমন যে একদিনে অনেকগুলি পরীক্ষা করা যায়। এর সংখ্যার কোনও সীমা নেই।

এই সফ্টওয়্যারটি একটি স্মার্টফোন বা ট্যাবে ডাউনলোড করতে হবে। এটির কন্ঠস্বর রেকর্ড করতে হবে এবং কয়েক মুহূর্তের মধ্যে করোনার ফলাফল আসবে। সফটওয়্যারটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে কাজ করবে এবং বাড়ি, অফিসে বা কোথাও যাত্রা করার আগে নিজেই পরীক্ষা করে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণগুলি উপস্থিত হলে এই পরীক্ষা কার্যকর করা হবে। বিদেশে এখনও পর্যন্ত এই পরীক্ষায় প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পজেটিভ ফলাফল মিলেছে।

Share this article
click me!