
ভারতের মোবাইল ফোন উৎপাদন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২২,৮৬৮ কোটি টাকার রপ্তানির রেকর্ডকে এটি বহুগুণে ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের উৎপাদন সংযুক্ত প্রণোদনা (PLI) প্রকল্পের সাফল্যই এই বৃদ্ধির মূল কারণ বলে জানিয়েছে ICEA।
ICEA-র মতে, মোবাইল ফোন উৎপাদন গত অর্থবর্ষের ২,২০,০০০ কোটি টাকা থেকে এই অর্থবর্ষে ৪,২২,০০০ কোটি টাকায় দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়াও, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে উৎপাদন ৫,১০,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অগ্রগতি ভারতকে বিশ্বব্যাপী একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
মোবাইল ফোন রপ্তানি ১,৮০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ICEA আশা করছে। এটি গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৪০% বৃদ্ধি। PLI প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এটি প্রায় ৬৮০% বৃদ্ধি। আমেরিকা ভারতের স্মার্টফোনের প্রধান বাজার।
ICEA-র চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রু বলেন, "সরকারের দৃঢ় সমর্থন এবং শিল্পের দক্ষতার কারণে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। তবে, আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমাদের যাত্রা এখনও শুরু হয়েছে। আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, আমাদের সুযোগ সীমিত। আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।"
সরকার এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক স্মার্টফোন তৈরির ভারতীয় শিল্পের মিলে কাজ করার ফলেই এই বিশাল সাফল্য সম্ভব হয়েছে। স্মার্টফোনগুলি এখন ভারতের রপ্তানি পণ্য হিসেবে পরিণত হতে প্রস্তুত। এটি আমাদের উৎপাদন ক্ষমতায় এক অসাধারণ পরিবর্তন দেখায়।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, ভারতীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্প রকেট গতিতে এগিয়ে চলছে। সরকারের সঠিক পরিকল্পনা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কঠোর পরিশ্রম ভারতকে মোবাইল উৎপাদনে একটি বিশ্বশক্তিতে পরিণত করেছে। এই অগ্রগতি আরও অনেক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।