নতুন চিপসেট উপলব্ধ হলে ব্যবহারকারীকে প্রত্যেকদিন নয়, বরং, ১ মাসে মাত্র ১ বার ফোন চার্জ করলেই কাজ চলবে।
স্মার্টফোন এখন আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। রাস্তা থেকে বাড়ি, সর্বত্র মানুষের নজর থাকে মুঠোফোনের স্ক্রিনে। এই খুদে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রটিতে নানাবিধ আশ্চর্যজনক সুবিধা মিললেও এর প্রধানতম একটি অসুবিধা হল ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে বা কম ব্যাটারি ক্যাপাসিটির থাকার দরুন একটি স্মার্টফোনকে দিনে দু'বারের বেশিও চার্জ দেওয়াতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই ফোনের চার্জ সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই বেশ অসন্তুষ্টি কাজ করে। তবে এবার সম্ভবত সেই আশঙ্কা মিটতে চলেছে। কারণ, এখন স্মার্টফোনে ব্যবহার করার জন্য এমন একটি চিপসেট তৈরি করা হচ্ছে, যা ফোনের চার্জ সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা দূর করবে। এর দ্বারা ফোনের ব্যাটারি লাইফ এক মাস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে দাবি করছেন আবিষ্কারকরা।
অর্থাৎ, নতুন চিপসেট উপলব্ধ হলে ব্যবহারকারীকে প্রত্যেকদিন নয়, বরং, ১ মাসে মাত্র ১ বার ফোন চার্জ করলেই কাজ চলবে। সম্প্রতি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ মাইক্রোচিপ নিয়ে কাজ করছেন, যেটি ফোনে ব্যবহার করা হলে আপনাকে ১২ মাসে মাত্র ১২ বার, মানে, মাসে মাত্র একবার করে ফোনের ব্যাটারি চার্জ করতে হবে। এজন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। এতে সহায়তা করছে ব্রিটিশ প্রশাসনও।
যদিও, এই মুহূর্তে ওই চিপ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে সূত্রের খবর, এর প্রস্তুতকারী দলের উদ্দেশ্য হল এমন একটি প্রসেসর তৈরি করা, যার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না, এর ফলে ব্যাটারি লাইফ আগের চেয়ে আরও অনেকটা ভালো হবে। এই চিপটি বর্তমানে ব্যবহৃত চিপের চেয়ে ১০০ গুণ ছোটো। যদিও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই এই ধরনের চিপ ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলি ১.৫ মিলিয়ন ডলার প্রোগ্রামের অংশ যা শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে চিকিৎসাগত বিপ্লব ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এগুলি পারকিনসন্সের মতো দুর্বল মস্তিষ্কের অবস্থার চিকিৎসা করতেও সাহায্য করে।