একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই অবস্থায় সিআইএসএ সমস্ত দুষিত সাইবার কার্যকলাপ বন্ধ রাখারর ওপর জোর দিয়েছে। প্রতিটি কার্যকলাপ থ্রেশহোল্ডের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথাও বলেছে।
ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia - Ukaraine War) মধ্যেই বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট যোগাযোগ নেটওয়ার্কে (satellite networks )বড়সড় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে- সতর্ক করে তেমনই জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। প্রতিটি দেশকেই সতর্ক করেছে আমেরিকা। মার্কিন সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ট ইনফ্রাস্ট্রাকটার সিকিউরিটি এজেন্সি (CISA) ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনসেভস্টিগেশন (FBI) সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কগুলি সম্ভাব্য হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
স্যাটকম নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকদের সামনে একটি বড় ঝুঁকি রয়েছে। বলা হয়েছে যে কোনও সময়ই তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ইউরোপে হাজার হাজার গ্রাহক রয়েছে। যারা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপের গ্রাহকদের স্যাটেলাইট মোডেম অফলাইন হয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরই এই জাতীয় সতর্ক বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই অবস্থায় সিআইএসএ সমস্ত দুষিত সাইবার কার্যকলাপ বন্ধ রাখারর ওপর জোর দিয়েছে। প্রতিটি কার্যকলাপ থ্রেশহোল্ডের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথাও বলেছে।
সিআইএসএ ও এফবিআই স্যাটকম গ্রাহকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে। আর সেই জন্য পুরো পরিস্থিতি বারবার পর্যালোচনা ও নজরদারি চালানোর কথাও বলেছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের আগেই ইউক্রেনে সাইবার হানার ঘটনা ঘটেছিল। ইউক্রেন দাবি করেছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাইট হ্যাক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি দেশের বড় বড় ব্য়াঙ্কিং সাইট গুলিও হ্যাকিং-এর অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। সেদিন ইউক্রেনের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদিও রাশিয়া সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
রাশিয়ান হামলায় ইউক্রেনের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হল মারিউপোল। এই শহরের প্রবল বোমা ও গোলা বর্ষণ করেছে রুশ সেনা। গুঁড়িয়ে দিয়েছে আবাসিক এলাকা। এই শহরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ রয়েছে। তারাদের কাছে সামান্য খাবার ও জল মজুত রয়েছে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিষেবা। কিন্তু তারপরেও স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে নারাজ ইউক্রেনবাসী। মাতৃভূমি আঁকড়ে বসে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।
অন্যদিকে রাশিয়া ফের ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের তারা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ দিকে একটি জ্বালানি স্টোরেজ সাইট ধ্বংস করে দিয়েছে। অন্যদিকে এদিনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে ইজরায়েলকে তাদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। বলেছে, ইহুদিদের উচিৎ তাদের পাশে দাঁড়ানো। রাষ্ট্র সংঘের হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩ কোটিরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়েছেন।
'আমার দলকেও মাফ করিনা', কাশ্মীর ফাইলস বিতর্কে রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত গুলাম নবি আজাদের
লক্ষ্ণী-গণেশের মূর্তির সামনে মাটির প্রদীপ রাখলে কেটবে আর্থিক সংকট, ধনী হওয়ার পাঁচটি উপায় রইল
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশে মীরা, মার্কিন বিশেষজ্ঞর তীব্র সমালোচনা শাহিদ কাপুরের স্ত্রীর