বিদায়বেলায় 'কলঙ্কিত' ট্রাম্প দিলেন ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা, ইমপিচে সায় রিপাবলিকানদেরও

  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ 
  • সায় দিয়েছেন অনেক রিপাবলিকানও 
  • আইন মেনেই কাজ হবে বলে জানিয়েছেন ন্যান্সি 
  • ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্টের 
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 14, 2021 4:00 AM IST

মার্কিন ইতিহাসে আরও একবার নজির তৈরি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি যাঁকে দুবারের জন্য ইমপিচ করাল হয়। ক্যাপিটাল হিলের হিংসা ছড়িয়া দেওয়ার কারণেই ট্রাম্পকে ইমপিচের প্রস্তাব আনা হয়েছিল মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৩২টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৭টি। ক্যাপিটাল হিলের ঘটনাকে সামনে রেখেই ডেমোক্র্যাটরা ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব নিয়ে আসে  কিন্তু সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন ১০ রিপাবলিকানও। আগামী সপ্তাহে সবরকম প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও সূত্রের খবর। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের মত মার্কিন সেনেটেও বিষয়টি কার্যকর হবে। কিন্তু ট্রাম্প যদি সেখানে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আর তিনি ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না। 


ইমপিচমেন্টের বিতর্ক শুরুর আগেই আব্রাহাম লিঙ্কন ও বাইবেলকে উদ্ধৃত করে সংবিধান রক্ষার জন্য সমস্ত আইন প্রণেতারা যে শপথ নিয়েছিলেন তাঁ মেনে কাজ করার আর্জি জানান হাউস অপ রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বলেন ট্রাম্পের অবশ্যই সরে যাওয়া উচিৎ। আমরা যে দেশকে ভালোভাসি সেই দেশের পক্ষে উনি বিপজ্জনক। ক্যাপিটাল হিলে হিংসার ঘটনার আঁচ পড়েছিল তাঁর অফিসেও। ট্রাম্প সমর্থকরা তাঁর অফিসে ঢুকে সেদিন তাণ্ডব চালিয়েছিল। প্রয়োজনীয় নথি চিঠিপত্র ছিঁড়ে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। 

গত বুধবার ক্যাপিটাল হিলে রীতিমত হামলা চালায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামী ও ভক্তরা। সেই ঘটনার পর এদিনও  প্রথম জনসমক্ষে আসেন তিনি। তিনি বলেন আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে ইমপিচমেন্ট নিয়ে একটিও মন্তব্য করেননি তিনি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, বলেন, মুহূর্তের আবেগ কাটিয়ে আমেরিকাকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে আমেরিকাকে বিশ্বের সেরা হতে হবে বলেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষকে পরিবারের মত ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। 


এক সপ্তাহ আগে ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালিয়ে ট্রাম্প সমর্থকরা জো বাইডেনের জয় প্রত্যাখ্যান করে। চরম হিংসার ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই হিংসা  উস্কে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই হামলার ঘটনা নিয়েও তিনি বলেন যারা গত সপ্তাহে হামলা চালিয়েছিল তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যদিও হিংসার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ট্রাম্প উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন এই অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এদিন হোয়াইট হাউসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই ট্রাম্পের মন্তব্য প্রচার করা হয়। 

Share this article
click me!