ক্যাপিটাল হিলে হিংসার আঁচে পুড়তে চলেছে ট্রাম্পের সম্মান, ইমপিচ করতে উদ্যোগ ডেমোক্র্যাটদের

  • ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে উদ্যগ
  • উদ্যোগ নিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা 
  • হতে পারে ভোটাভুটিও 
  • কয়েকজন রিপাবলিকানও চাইছেন 

Asianet News Bangla | Published : Jan 13, 2021 4:27 PM IST

বিদায়কালে আরও বিড়ম্বনা বাড়তে চলেছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। জল্পনার অবসান, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনার জন্য ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যদি ইমপিচ করা হয় তাহলে তিনি হবে প্রথম রাষ্ট্রপতি যাঁকে দুবার ভর্ৎসনা করা হবে।  আর সেই কারণেই ডেমোক্র্যাটদের একটি বড় অংশ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

গত সপ্তাহেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর সমর্থন ও অনুগামীদের ক্যাপিটাল ভবেন আক্রমণ করার জন্য উস্কে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম তাঁকে ব্যান করেছে। ক্যাপিটাল হিলে হামলার ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই হামলার ঘটনা মার্কিন গণতন্ত্রের ইতিহাসে চরম লজ্জার দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবারই তাঁকে ইমপিচ করার জন্য ডোমেক্র্যাটরা প্রস্তুতি শুরু করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হবে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প হিংসার ঘটনায় তাঁর দায়বদ্ধতা অস্বীকার করেছেন। 

'ভারতীয়রা গিনিপিগ নয়', টিকারণের আগের দিনও কোভ্য়াক্সিন নিয়ে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস ...

'দিল্লিতে কার বিয়ের স্পনসার ছিলেন কেডি সিং' নাম না করে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর ...

এখন প্রশ্ন ট্রাম্পকে কি অভিযুক্ত হবে?মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যেহেতু ডেমোক্র্যাটরা এই হাউসে সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করেছে তাই ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরে প্রস্তাবটি সেনেটে যাবে। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য একটি বিচারের আয়োজন করা হবে। ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য সেখানে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। আর সেই কারণেই ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে গেলে কমপক্ষে ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যেমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ২০ জন রিপাবলিকান সেনেটর মার্কিন রাষ্ট্রপতিতে দোষী সাব্যস্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। 

বর্তামান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি ২০২৪ সালে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন। একটি সূত্র বলছে, তাঁকে ইমপিচ করার মূল উদ্দেশ্যই হল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে বাধা দেওয়া। তাঁকে রাজনীতি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ইমপিচের মাধ্যমে। আগামী ২০ নভেম্বের মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ডো বাইডেন। উপরাষ্ট্রপতি হবে কমলা হ্যারিস। 

Share this article
click me!