ভারতের কৃষক বিক্ষোভের সঙ্গে আবারও নাম জড়িয়ে গেল খালিস্তানের। এবার আর ভারতে নয়। সুদূর আমেরিকায়। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির মহাত্মাগান্ধী মেমোরিয়াল প্লাজায় গান্ধীজির মূর্তিকে বিকৃত করে এক দল দুষ্কৃতী। একই সঙ্গে গান্ধীজির মুখটি একটি হলুদ রঙের পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। গান্ধীজির মূর্তি সংলগ্ন এলাকায় খালিস্তানি স্লোগানও তোলা হয়।
সংসদ হামলার ১৯ বছর পার, সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ...
কৃষকদের পাল্টা পথে নামার পরিকল্পনা বিজেপির, বিক্ষোভ ছেড়ে আলোচনায় আসতে বললেন তোমর ..
শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারতে চলা কৃষি আন্দোলেনকে সমর্থন জানিয়ে পথে নামে প্রবাসী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা অবস্থান বিক্ষোভ করে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের পাশ করা তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। অভিযোগ, তাদেরই একটি দল ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় গান্ধী মূর্ততিতে অবমাননা করে। গান্ধী মূর্তির সামনে খালিস্তানপন্থী স্লোগান তোলে। সেখানেই খালিস্তানপন্থী একদল যুবক গান্ধী মূর্তি বিকৃত করে বলে অভিযোগ। একটি তারা মূর্তিটি খালিস্তানের একটি পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মত দেখতে একটি পুতুলও ঝুলিয়ে দিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বিক্ষোভ। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের এক এজেন্ট মূর্তিটির দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পর দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব কিছুটা হলেও কমে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই এজেন্ট দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে বলেছিল তারা মূর্তিটিকে ভাঙচুর চালিয়ে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। কারণ কয়েক মাস আগেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আইন পাশ করেন যেখানে বলা হয়েছে, স্মৃতিসৌধ, মূর্তি ভাঙচুর, ধ্বংস বা বিকৃত করা বা অবমাননা করা আইনত অপরাধ। ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন। একই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেকথাও বলা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে গান্ধীমূর্তিতে অবমাননা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। ১৯৯৮ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর এই মূর্তিটি উন্মোচন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই মূর্তিটির ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।