শনিবার ছিল হ্যালোইন
এদিন অনেকেই কুমড়োর গায়ে চোখমুখ এঁকে ভূত সাজান
এই হ্যালোইন উদযাপনে এবার যোগ দিল নাসা
তাদের কুমড়ো অবশ্য একেবারে মহাজাগতিক
শনিবার ছিল হ্যালোইন, অর্থাৎ ভূত-প্রেতদের উদযাপন করার দিন। পশ্চিমী দেশে অনেক জায়গাতেই কুমড়োর গায়ে চোখমুখ এঁকে তার ভিতরে মোম বা প্রদীপ বসিয়ে ভূত সাজান অনেকে। এই হ্যালোইন উদযাপনে এবার যোগ দিল নাসাও। সদ্য আবিষ্কৃত বড় আকারের এবং অপার্থীব কুমড়োর ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে।
নাসার হাবল টেলিস্কোপে ধরা পড়া একটি ছবি তারা প্রকাশ করেছে। ছবিটির সঙ্গে হ্যালোইনের সজ্জার জন্য কুমড়োর গা যেমন চোখ মুখ আঁকা হয়, তার দারুণ মিল। নাসা বলেছে যেন আকাশের এক প্রান্তে নক্ষত্রদের দিয়ে কেউ হ্যালোইন সাজসজ্জা করেছে। আসলে চিত্রটি দুটি গ্যালাক্সির মধ্যে সংঘর্ষের প্রাথমিক পর্যায়ের একটি ছবি, বলে জানিয়েছে নাসা। পুরো দৃশ্যটি রয়েছে প্রায় ১০৯,০০০ আলোকবর্ষ জুড়ে।
হ্যালোইনের কুমড়ো সজ্জা
এই 'বৃহৎ কুমড়ো'র কমলা রঙ 'দুটি গ্যালাক্সিতে লাল নক্ষত্রদের বার্ধক্যের ঝলক' বলে জানিয়েছে নাসা। আর শয়তানি হাসিটা আসলে 'নবজাত নক্ষত্রপুঞ্জ' যা মার্কিন মহাকাশ চর্চা কেন্দ্রের মতে 'একটি নেকলেসে যেভাবে মুক্তো বসানো থাকে সেইভাবে পরপর একটি নবগঠিত ধূলিকণার হাতের উপর ছড়ানো রয়েছে'। আর এর জ্বলজ্বলে চোখদুটি হল এক জোড়া সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের চারপাশে বিশাল সংখ্যক নক্ষত্রদের জমাট বেধে থাকার দৃশ্য।
তবে হ্যালোইন সপ্তাহে শুধু এই দৈত্যাকার কুমড়োই নয়, হাবল স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশে বিশালাকার বাদুড় এবং ক্যান্ডি বা লজেন্স-ও খুঁজে পেয়েছে। বলাই বাহুল্য, বিশাল কুমড়োটির মতোই সেগুলিও বিভিন্ন মহাজগতিক বস্তুর সমন্বয়।