ইতালির বিজ্ঞানীর প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন, এবার সেই আশ্চার্য সোনার গ্রহাণুতে যাচ্ছে NASA


NASAর নতুন অভিযান সোনার গ্রহাণু সাইকি১৬। গ্রহাণু ঢাকা রয়েছে মহামূল্যবান ধাতুর চাদরে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 11, 2021 4:09 PM IST / Updated: Aug 11 2021, 10:14 PM IST

সোনায় মোড়া গ্রহাণু (Goldmine Asteroid) বললেও খুব একটি সঠিক বলা হবে না। কী নেই সেই গ্রহাণুতে- সোনা তো রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে প্ল্যাটিনাম, লোহা, তামাসহ একাধিক মূল্যবান। এবার সেই মহামূল্যবান গ্রহাণুকে আকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ন্যাশানাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন  বা নাসা (NASA)। আগামী ২০২৬ সালে সেই গ্রহাণু অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। নাশান কথায় খুব বেশি দূরে যেতে হবে না। সৌর জগতের মধ্যেই বিচরণ করছে সেই অতি-মহামূল্যবান গ্রহাণুটি। যার দাম আনুমানিক ১০ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। মার্কিন হিসেবে ১০,০০০ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার (১ কোয়াড্রিলিয়নের পরে ১৫টি শূন্য বসে)।

Viral Video: মাত্র ২৬ সেকেন্ডের রুদ্ধশ্বাস লড়াই, দুটি বাঘ মন কাড়ল নেটিজেনদের

সোনায় মোড়া গ্রহাণুর বৈজ্ঞানিক না সাইকি১৬ (psyche 16)। মঙ্গল আর বৃহস্পতির কক্ষপথের মধ্যে এটি অবস্থান করে রয়েছে। পৃথিবী থেকে এই গ্রহাণুর দূরত্ব প্রায় ২০০ মিলিয়ন মাইল। তবে এখনও পর্যন্ত এই গ্রহাণু নিয়ে সব রহস্যের সমাধান করতে পারেনি নাসা। আগামী ২২ মাস ধরে গ্রহাণু নিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। তারপরেই সেখানে মহাকাশ যান পাঠাবে। নাসাই প্রথম নয়। আজ থেকে ১৭০ বছর আগে ১৮৫২ সালে ইতালির জ্যোর্তিবিজ্ঞানী আনিবেল দি পাসপারিস প্রথম এই মহামূল্যবান গ্রহাণুর সন্ধান দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী শুরুতে মৃতপ্রায় গ্রহাণুর সঙ্গে এটিকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।

World Meeting Of Peace: অক্টোবরে ইতালিতে যাওয়ার আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, থাকবেন পোপও

বিজ্ঞানীদের প্রথামিক অনুমানসাইকি১৬ (psyche 16) কোনও একটি গ্রহের ভাঙা অংশ। সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার সময় কোনও কারণে সেটি ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটি মৃত প্রায় অবস্থায় সৌরজগতেই থেকে যায়। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরাও এই গ্রহাণু নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে সাইকি১৬ (psyche 16) লোহা আর নিকেল দিয়ে তৈরি হয়েছে। এই গ্রহাণুর খনিজ সম্পদের মূল্য চার কোটি ডলার হতে পারে। এম টাইপ গ্রহাণুগুলির মধ্যে সাইকি সবছেকে বড়। তবে এটি পৃথিবীর সমবয়সী কিনা তাও জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। চিলির বিজ্ঞানীরা আবার দাবি করেছেন এই গ্রহাণুটির ভূপৃষ্ঠে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ধাতুই অত্যান্ত মূল্যবান। তাঁরা মনে করেন গ্রহাণুটি একাধিক ধাতুর চাদরে ঢাকা রয়েতছে। তাই নাসার মহাকাশ যান সেই গ্রহাণুতে পৌঁছালেই সব রহস্যের সমাধান হবে। এই গ্রহাণুতে যাওয়া-আসা করতে সময় লাগবে প্রায় ১ বছর। 

তালিবানদের দখলে ভারতের Mi 35 হেলিকপ্টার, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই ভিডিও

বিজ্ঞানীদের  মতে এমন আশ্চার্য গ্রহাণুর সন্ধান তাঁরা এতদিনে পাননি। তবে নাসার বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন সেই গ্রহাণু যদি কেটে কেটে নিয়ে নিয়ে আসা হয় তাহলে বিশ্বের ৭৭০ কোটি মানুষ প্রত্যেকেই কোটিপতি হয়ে যাবে। 

 

Share this article
click me!