একের পর এক ছুরির আঘাত। একসময় গুরুতর আহত অবস্থাতেই বাড়ির দরজা খুলে রাস্তায় বেরিয়ে এলেন যুবতী। তাঁকে তাড়া করে বেরিয়ে এলেন আরেক যুবকও। তারপর প্রকাশ্য রাস্তাতে ফেলেই ফের চলল ছুরিকাঘাত। আর গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকল তাঁদের ছয় সন্তান। শুধু তাই নয়, ছুরির আঘাতে তাদের মধ্যে এক কিশোরও আহত হয়েছে। এক বুধবার ক্রিসমাসের ভোরে এমনই ভয়ানক ঘটনা ঘটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ফিলাডেলফিয়া প্রদেশে।
বুধবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ এক ব্যক্তি ফার্ন রক বসত এলাকায় পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের আঘাত নিয়ে এক মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। যে বাড়ির সামনে তিনি পড়েছিলেন, তার ভিতরেও ডান উরুতে ছুরি আঘাত নিয়ে গুরুতর জখম অবস্তায় এক ১৪ বছরের কিশোরকে পাওয়া যায়। দুজনকেই পুলিশ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন মেডিকাল সেন্টারে নিয়ে যায়। ৩৫ বছরের ওই মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ফিলাডেলফিয়া পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, বড়দিনের সকালের এই হামলার ঘটনা ঘটে। বাড়িটির ভিতরে প্রচুর পরিমাণে রক্ত, ভাঙা কাঁচ এবং আসবাবের টুকরো পড়েছিল। তাদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার প্রেমিক ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে পারিবারিক পার্টিতে অনেকটা মদ্যপান করছিল। এরপরই অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা চলে যেতেই তাঁর চণ্ডালের রাগ গিয়ে পড়ে প্রেমিকার উপর। সেই সময় বাড়িতে তাঁদের ছয় সন্তানও উপস্থিত ছিল। তাদের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। প্রেমিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলতে চলতেই রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে এসে সে প্রেমিকার বুকে আঘাত করতে থাকে। ১৪ বছরের ওই কিশোর তাকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করলে সেও আঘাত পায়।
পুলিশ জানিয়েছে ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।