কাবুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো মার্কিন সেনা। একজন আইএসআইএস-কে সন্ত্রাসবাদী মৃত্য়ু হয়েছে বলে দাবি করল তালিবান।
রবিবার, কাবুলের রাস্তায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তালিবানদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলায় একজন সন্দেহভাজন আইএসআইএস-কে সন্ত্রাসবাদীর মৃত্য়ু হয়েছে। সে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে যাচ্ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু না জানানো হলেও, সংবাদ সংস্থা রযটার্সকে পরিচয় গোপন রেখে এক মার্কিন সামরিক কর্তা তালিবানদের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, একটি আত্মঘাতী হামলাকারীকে লক্ষ্য করে একটি গাড়িতে মার্কিন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ওই গাড়িটি নিয়ে সেই আত্মঘাতী জঙ্গি কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমেরিকানদের নিশানা করতে চেয়েছিল।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবারের পর, রবিবার ফের কাবুলে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে। কাবুলের পুলিশ প্রধান রশিদ জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিমে খাওয়াজা বুঘরা এলাকায় একটি বাড়িতে আঘাত হানে একটি রকেট। ওই ঘটনায় এক শিশু-সহ মোট দুইজন নিহত এবং আরও তিনজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কোনও গোষ্ঠীই তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আইএসআইএস খোরাসান, যারা ৩ দিন আগে কাবুল বিমানবন্দরে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছিল, সেই গোষ্ঠীই এই হামলার পিছনে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠী মার্কিন এবং তালেবান, দুই পক্ষেরই বিরোধী।
আরও পড়ুন - ডানা কেটে নিয়েছিল তালিবান, ছবিতে ছবিতে চিনে নিন আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটকে
আরও পড়ুন- কাবুলে 'রুদ্ধ সঙ্গীত' - গানের স্কুলে ভাঙছে বাদ্যযন্ত্র, বাড়ছে তালিবানের আনাগোনা, দেখুন
নিরাপত্তাজনিত এই হুমকির মধ্য়েই মার্কিন অসামরিক নাগরিক, সেনা সদস্য ও আফগান বন্ধুদের কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে মার্কিন সেনা। এদিন মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে আর ৩০০ জনকে আফগান মাটি থেকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে হবে তাদের। যা আর একদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন উপস্থিতি সরানোর শেষ তারিখ ৩১ অগাস্ট।