ফের মার্কিন মুলুকে দারুণ প্রশংসা পেলেন নরেন্দ্র মোদী
চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য
তবে শুধু ভারত নয়, সম্প্রতি রুখে দাঁড়িয়েছে কানাডা অস্ট্রেলিয়াও
হলে কি এবার চিনের বিরুদ্ধে জোট বাঁধবে বিশ্বের সব দেশ
চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ভারত। আর তার জন্য বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর জন কেনেডি ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শুধু তাই নয়, ভারতের মতো চিনা আগ্রাসনের শিকার হওয়া সমস্ত দেশকে চিনের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।
এদিন এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে জন কেনেডি বলেন, 'ভারতে মোদী চিনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোয় আমি খুবই গর্বিত। কানাডা যা করছে তাতেও আমি খুব গর্বিত। প্রত্যেক দেশই কোণঠাসা হয়ে পালাচ্ছে না।' তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বের কোনও দেশই এখন আর চিনকে বিশ্বাস করে না। তবে অধইকাংশ দেশই চিনের বিরুদ্ধে যেতে ভয় পায়। কারণ, চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। চিন তার অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধিকে অন্য দেশগুলিকে দমন করার জন্য ব্যবহার করে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ তাদের সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়।
একসময় ডেমোক্র্যাটদের সেনেটর ছিলেন জন কেনেডি। মার্কিন রাজনীতির এই পরিচিত মুখ এখন অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলেরই সেনেটর। তাঁর মতে একচেটিয়া চিনা আগ্রাসনের দিন অবশ্য ফুরিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশপাশি অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডা-র মতো দেশ তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় চিন বিরোধী জোটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুধু ইউরোপ নয়, তিনি চাইছেন চিনের আগ্রাসনের শিকার সব দেশের হাত মোলানো উচিত। তারপর চিনকে বলতে হবে, খেলতে চাইলে নিয়ম মেনে খেলো। নাহলে আমরা তোমার সঙ্গে আর ব্যবসাপত্তর করব না। চিনা আগ্রাসন থামানোর এটাই উপায় বলে মত দিয়েছেন তিনি, কারণ তারা ব্যবসা ছাড়া কিছু বোঝে না।
চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও চিনা কমিউনিস্ট পার্টিরও কড়া সমালোচনা করেছেন কেনেডি। তিনি বলেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টি 'ডাকাত দল'-এর মতো আচরণ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় একটা স্থিতিশীল বিশ্বব্যবস্থায় চিন দায়িত্বশীল অংশীদার হোক, ডাকাত নয়। আর তা করতে গেলে বেজিং-কে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে, বৌদ্ধিক সম্পদ চুরি বন্ধ করতে হবে, বাজার উন্মুক্ত করতে হবে, দক্ষিণ চিন সাগরে একের পর এক দ্বীপপুঞ্জ দখল করা বন্ধ করতে হবে, অস্ট্রেলিয়া-ভারত-কানাডা'কে হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।