প্রতিটি দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়াই লক্ষ্য, ২ বিলিয়ন ডোজ তৈরিতে জোর

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে জোর
প্রতিটি দেশের ২০স শতাংশ মানুষকে দেওয়া হবে প্রতিষেধক
২ বিলিয়ন ডোজ তৈরিতে জোর
লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগি গাভি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ গবেষক সোম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন ২০২১ সালের আগে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতে পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন  আগামি বছর মার্চের মধ্যে হাতে পাওয়া যেতে পারে করোনার প্রতিষেধক। বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। তারপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সহযোগী গাভি  জানিয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে ২ বিলিয়ন কোভিড ১৯ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরির লক্ষ্য মাত্রা নেওয়া হয়েছে। 

গাভি একটি বেসরসারি সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগি হিসেবে কাজ করে। দরিদ্র দেশগুলিতে টিকাদান প্রক্রিয়া বাড়ানোই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য। গাভির পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে প্রতিটি দেশের  নূন্যতম ২০ শতাংশ জনগণের কাছে প্রথম দফায় পৌঁছে যাওয়ার তাদের মূল উদ্দেশ্য। 

Latest Videos

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও, যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্য তিনি সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে একটি আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে কোভ্যাক্সিন তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তিনিও  বলছেন বিশ্বজুড়ে করোনার প্রতিষেধকের চাহিদা প্রচুর। তাই প্রথম লক্ষ্যই হবে একসঙ্গে অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়লগুলিকে ত্বরান্বিত করার ওপরেও তিনি জোর দিয়েছন। 

জুনের প্রথম থেকেই কোভ্যাক্সিন বাজারের আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে গাভি। যার জন্য আর্থিক সুবিধে দিতে বিমাও চালু করা হয়েছে। সাফল্য না এলেও ক্ষতিপুরণ পাওয়া যাবে বলেও জানান হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। সংস্থাটি মনে করেছে প্রতিষেধক তৈরির জন্য এই পরিকল্পনা আরও উৎসাহী করবে সংশ্লিষ্টদের। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রথম দিকে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতেই প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। মূল লক্ষ্য থাকবে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের প্রতিষেধক দেওয়া। 

সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, যেসব সংস্থাগুলি প্রতিষেধক তৈরি করছে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য  প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গাভির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে ২ বিলিয়ন করোনা প্রতিষেধকের ডোজ তৈরির করার জন্। ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ১৮ লক্ষ মার্কিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় তিনটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাক্সিন তৈরির কাজে অনেকটা এগিয়েছে। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলিও প্রতিষেধক তৈরির কাজে জোর দিচ্ছে। 

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায় প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য কর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রথম ভ্যাক্সিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে আবেদন জানান হবে। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
'চুরি হবে অথচ তৃণমূলের নাম আসবে না তা হয় কখনও!' ট্যাব দুর্নীতিতে মমতাকে ধুয়ে দিলেন সুকান্ত!
Suvendu Adhikari: 'তৃণমূল বাচ্চাদের ট্যাবও খেয়ে ফেলছে' চরম কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
'ট্যাব কেলেঙ্কারিতে মমতা ও আইপ্যাক যুক্ত' বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
হতবাক সবাই! হাওড়া স্টেশন থেকে এ কী উদ্ধার হলো, দেখুন | Howrah News Today