বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। একটা নাম, একটা যুগ, একটা ইতিহাস। কলকাতার শ্যামপুকুরের ছোট্ট গলিপথ, নাম- রামধন মিত্র লেন। তেমন প্রশস্তও নয়। কিন্তু সেই গলিরই সাত নম্বর বাড়ীর বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ ভদ্র আর সরলাবালা দেবীর পুত্র বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠ এই গলি, শহর, রাজ্য, দেশ এমনকি সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে আজ এক চিরন্তন স্থান নিয়েছে বাঙালীর হৃদয়ে।মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণের গলায় চন্ডীপাঠ। ভদ্র বাড়ির মূল দরজার পাশে আজও জ্বলজ্বল করছে কালীকৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কে-কে ধরের ফলক। পিতা কে-কে ভদ্রের থেকেও পুত্র বি-কে ভদ্র মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র যে এক দৃষ্টান্ত তৈরি করবেন তা কেউ ভাবতেও পারেন নি।
১৯৯১ সালের ৩ নভেম্বর মারা যান ‘বেতার পুরুষ' বীরেন্দ্রকৃষ্ণ। শেষ বয়সের অনেক সাক্ষাৎকারে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠে ধরা পড়েছিল অভিমানের সুর। তিনি বলেছিলেন – "ভাবতেই পারিনি সবাই আমাকে ভুলে যাবে …কিন্তু আমাকে ভুলে গেলেও বছরে একবার সেই দিনটিতে মানুষ আমাকে স্মরণ করবেই করবে। তাতেই আমার তৃপ্তি।’’