ঘরে ফিরলেন উমা। ৪ দিনের উৎসবে মানুষকে মাতিয়ে রেখে ফিরে গেলেন কৈলাসে। চারিদিকে কোলাহল মুখরে ঘন ঘন ভেসে আসছে- আসছে বছর আবার হবে। দীর্ঘ কয়েক মাসের প্রস্তুতি। তিল তিল করে অপেক্ষা করে থাকা ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরায় প্রতীক্ষায়। কৈলাসের পরাপারের সংসার ভেঙে হিমালয়ের ঘরে আসাটা-তো চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। রাস্তাও বড্ড দুর্গম। সে রাস্তা দিয়ে আসার ঝক্কিটাও বেশ। আসলে বিয়ের পর মেয়েদের ইচ্ছে-অনিচ্ছার উপরে এমনই তো কোনও দুর্গমতার ভার চেপে বসে। যা মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়িটা যাওয়াটা খুব একটা সহজ হয়ে দাঁড়ায় না।
কলকাতায় সবচেয়ে বড় বিসর্জনের আয়োজন থাকে বাজে কদমতলা ঘাটে। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য এদিন সকাল থেকেই লাগাতার এসে গিয়েছে প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যেমন কুলে এবং মুঠেদের তৈরি রাখা হয়েছিল তেমনি বিসরজর্নের সময় যাতে নদী গর্ভে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এই দিন তার নিদর্শনও মেলে। নদীর ঘাটে যেমন রাখা হয়েছিল ক্রেন থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত কুলি, মুঠে থেকে পুলিশ, তেমনি নদী গর্ভে নামানো হয়েছিল পেশাদার ডুবরি থেকে পেশাদার সাঁতারু, পাশাপাশি জলপুলিশের তরফে নজরদারির জন্য মোতায়েন ছিল রাবার বোট। এদিন একটি বোট থেকে বেশকিছুক্ষণ জল থেকে ঘাটের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গঙ্গার জল দূষণ নিয়ে আদালতের কড়া নির্দেশ রয়েছে। ফলে জলে প্রতিমা নিরজ্ঞন হওয়া মাত্র তা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। মুহূর্তে মধ্যে কাঠামোগুলোকে নদীর জল থেকে পাড়ে টেনে তুলে নিচ্ছে ক্রেন। এরপর তা ট্রাকে করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাইরে।