হড়পা বানের জল যখন হুহু করে মরা মাল নদীতে ঢুকছে তখন খড়কুটোর মত ভেসে যাচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। চর আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করছে সকলে তখনই সম্পূ্ণ অন্য পথে হেঁটেছিলেন এক হলুদ শার্ট পরা তরুণ। জীবন উপেক্ষা করে ভড়া নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ভেসে যাওয়াদের ডাঙায় ফিরিয়ে আনতে। তিনি মহম্মদ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাঁকে ভুলিয়ে দিয়েছিল জাতি ধর্মের বৈষম্য। স্থানীয়দের দাবি কমপক্ষে ১০ জন মানুষকে নিজের চেষ্টায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এসেছিলেন মহম্মদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ধন্য ধন্য শুরু হয়ে গেছে মহম্মদকে নিয়ে।
বিসর্জনের সময় হড়পা বানে যখন ভেসে যাচ্ছিল বহু মানুষ, তখন পাড়ে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং না করে, মুহূর্তের সিদ্ধান্তে প্রবল স্রোতের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে, মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন মহম্মদ মানিক। পায়ে আঘাতও পান তিনি। তাই তিনি, ভাসানের সময় মালবাজারে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দূর্ঘটনার সময় উঠে আসা প্রকৃত নায়কদের মধ্যে একজন। মানিক মহম্মদ, বিসর্জনের বিষাদে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতই। ধর্মীয় হিংসা যখন গ্রাস করছে গোটা ভারতকে, তখন মানিক কোনও কথা না বলেও নিজের কাজের মাধ্যমেই দিলেন সম্প্রিতীর বার্তা। যা বিষাদের মধ্যেই পূর্বালী রাগের মতই শ্রুতি মধুর।