সুইগি বিতর্কে ফের সুদীপা বনাম অরিত্র। রান্নাঘরের সুদীপাকে তীব্র কটাক্ষ অরিত্র দত্ত বণিকের। পরিবার ও শিক্ষা-দিক্ষা নিয়ে বয়ান দিয়েছেন এই অভিনেতা। ২২ মিনিটের এই ফেসবুক লাইভ এখন ভাইরাল। সুইগি-র ডেলিভারি বয়দের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রান্নাঘর খ্যাত সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন অরিত্র। প্রত্যুত্তরে অরিত্রকে সুবিধাবাদী বলার অভিযোগ। এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছিলেন সুদীপা। সেই সাক্ষাৎকারেই তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন অরিত্র।
কয়েকদিন আগে ডেলিভারি বয় নিয়ে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টের সমালোচনায় অরিত্র দত্ত বণিক নেট মাধ্যমে লেখেন,"জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা যাকে লক্ষাধিক মানুষ ফলো করেন তার কাছ থেকে এই বক্তব্য একেবারে কাম্য ছিলোনা। তাও উনি পোস্টটা ডিলিট করেছেন তবে মাথায় রাখবেন পোস্ট সরিয়ে নিলেই মন থেকে অহংকারী মানসিকতা সরে যায়না...."এই বিষয় একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে সুদীপাকে প্রশ্ন করা হলে রীতিমত ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন,“অরিত্র জীবনে কী করেছে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে”? এখানেই শেষ নয় অরিত্রর মা-বাবা তাঁর জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে নানা জায়গা থেকে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেছেন বলেও অভিযোগ তোলেন সুদীপা। পাশাপাশি অরিত্র দত্ত বণিক তাঁর নাম ভাঙিয়ে জনপ্রিয়তা কুড়োতে চাইছে বলেও দাবি করেন সঞ্চালিকা। তিনি আরও যোগ করেন "মানুষ এখন সাধারণ মজাকেও স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না। তারা যখন দেখছে মহিলা সোনার গয়না পরে,বাড়িতে দুর্গাপুজা হয়, শাড়ির দোকান আছে, তার মানে টাকা পয়সা আছে। তাই একে অপমান করলে আমাদের গায়ের ঝালটা মিটবে।" এবার সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জবাব দিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন অরিত্র দত্ত বণিক। ভিডিও-এ অরিত্র প্রথমেই নিজের বংশ গরিমার কথা উল্লেখ করে সুদীপার উদ্দেশ্যে বলেন তাঁর পরিবারের আদৌ তার নাম ভাঙানোর কোনওদিন প্রয়োজনই পড়েনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,"আমার বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্ট অডিটর। আমার মায়ের ২৫ বছরেরও পুরনো শাড়ির দোকান, নাচের ইনস্টিটিউট আছে। পরিবারের অন্য দিক গুলোয় দেখতে গেলে, আমার দাদু আইএসআই এর প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার।