চালকের আসনের পাশে বসেছিলেন তাঁর বোন এবং পিছনে ছিলেন আরও এক জন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ছুটির দুপুরে ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার জেরেই অকালে প্রাণ গেল বছর পঁয়তাল্লিশের ষষ্ঠী দাসের। ঘাতক গাড়িটিও বার-বার ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। অন্য গাড়ি দুটিরও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ বালিগঞ্জের রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। বেকবাগান মোড়ের কাছে এ.জে.সি বোস রোড থেকে বাঁক নিয়ে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে ঢোকে ওই বিলাসবহুল গাড়ি। প্রচণ্ড গতিতে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় লাল রঙের গাড়িটি। প্রথমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পর পর ২টি গাড়িতে ধাক্কা মারে সেটি। সেসময়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মাঝবয়সি এক মহিলা। দুর্ভাগ্যবশত তিনি ঘাতক গাড়ি আর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি BMW-র মাঝে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই দুটি গাড়ির মাঝে পিষে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘাতক গাড়ির মহিলা চালককে আটক করা হয়েছে। চালকের আসনের পাশে বসেছিলেন তাঁর বোন এবং পিছনে ছিলেন আরও এক জন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ছুটির দুপুরে ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার জেরেই অকালে প্রাণ গেল বছর পঁয়তাল্লিশের ষষ্ঠী দাসের। ঘাতক গাড়িটিও বার বার ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। অন্য গাড়ি দুটিরও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে পুলিশ দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত ষষ্ঠী দাস পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, সেটা জানার জন্য শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।