ষষ্ঠদফার ভোটের সাতসকালেই ভারতী ঘোষ-কে নিয়ে ঘাটালে ছড়াল উত্তেজনা, একটি বুথে বিজেপি-এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ায় তণমূলের মহিলা ব্রিগেডের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ভারতী ঘোষের, তিনি বিজেপি-র এজেন্টকে সঙ্গে করে বুথে ঢোকারও চেষ্টা করেন, শেষমেশ আধা সেনা তাঁকে বেষ্টন করে নিয়ে গিয়ে বুথে পৌঁছানোর চেষ্টা করে
ঘাটালের অন্তর্গত কেশপুর বিধানসভা এলাকার চাঁদখালিতে একটি বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন ভারতী। এজেন্টকে নিয়ে তিনি বুথে ঢুকতে গেলে তৃণমূলের মহিলা সমর্থকরা ভারতীকে ঘিরে ধরে বাধা দিতে শুরু করেন। রীতিমতো ধাক্কা দেওয়া হয় ভারতীকে। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপ্ত্তারক্ষীরা থাকলেও মহিলাদের সেভাবে বাধা দিতে পারেননি তাঁরা। ধস্তাধস্তির জেরে একসময় পড়ে যান ভারতী। পায়ে আঘাত পেয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। ভারতীর অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই মহিলা পুলিশ মোতায়েন করেনি। শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিয়ে এজেন্টকে না বসিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হন ভারতী ঘোষ।
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, ভারতীর লোকজন তাঁদের প্রথমে মেরেছে। সেই কারণেই তাঁরা পাল্টা প্রতিরোধ করেন. প্রকাশ্যেই তাঁরা বলেন, বিজেপি-র এজেন্টকে তাঁরা বুথে বসতে দেবেন না। ভারতীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনও তাঁর অভিযোগে কোনও সাড়া দিচ্ছে না। ভারতীর দাবি, ঘাটালের একাধিক জায়গায় তৃণমূল বিজেপি এজেন্টদের বাধা দিচ্ছে. একটি বুথ থেকে দুই বিজেপি এজেন্টকে অপহরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ভারতীর।