Marriage Trouble: সিঁদুর দানের পর পাত্রীর এমন সিদ্ধান্তে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পাত্রীকে সকলে বোঝানোর চেষ্টা করার পরও কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন পাত্রী। বর্তমানে তাঁদের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।
Rajasthan news: বিয়ের আয়োজন চলছিল। নিমন্ত্রিতরা সকলেই তখন আনন্দ উল্লাসে মত্ত। খাওয়া দাওয়ার আয়োজনে ব্যস্ত অনেকেই। কন্যপক্ষ থেকে বরযাত্রী সকলেই বিয়ের (Marriage) অনুষ্ঠান ঘিরে হইচই করছেন, এমন সময় হঠাৎ বিয়ে করতে বেঁকে বসলেন পাত্রী। সকলের সামনে পাত্রী জানালেন, তিনি যাবেন না শ্বশুরবাড়িতে। এই বিয়েও তিনি করতে চান না,ভাঙতে চান! বিয়ের আসরে পাত্রীর এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতবাক সকলে। কেন এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে বসলেন? পরে যা জানা গেল তাতে তাজ্জ্যব হলেন সকলেই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, রাজস্থানের ঢোলপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের আসরেই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করলেন পাত্রী। পাত্রের হাত কাঁপার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পাত্র একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক, পাত্রী বিএড পাশ করার পর চাকরির চেষ্টা করছেন। দুই তরফেই দেখেশুনে ধুমধাম করে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব ওলটপালট হয়ে যায়। দীপিকা জানান, তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাবেন না। এই বিয়েও তিনি ভাঙতে চান।পাত্রীর দাবি, সিঁদুরদানের সময় হাত কাঁপছিল পাত্রের। তাঁর ধারণা, পাত্রের কোনও কঠিন অসুখ রয়েছে, যা তিনি লুকিয়ে গেছেন বিয়ের আগেই। তবে পাত্রীর এই যুক্তির পাল্টা হিসেব পাত্রের দাবি, তাঁর হাত কেঁপেছিল ঠান্ডার কারণে। বিয়ের আগে দীপিকার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার দেখা হলেও, তাঁর হাত কখনও কাঁপেনি।
সিঁদুর দানের পর পাত্রীর এমন সিদ্ধান্তে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পাত্রীকে সকলে বোঝানোর চেষ্টা করার পরও কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন পাত্রী। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত জানা যায়, বর্তমানে তাঁদের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে বিয়ে বাড়িতে। গোটা ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে মুষড়ে পড়েন পাত্র। পাত্রপক্ষের অভিযোগ, সামান্য একটা কারণ দেখিয়ে পাত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা যথেষ্ট মর্মাহত হয়েছেন। শেষপর্যন্ত বিয়ে করতে এসে বউ না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় যুবককে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।