শেষ দফায় বহরমপুরে মমতাকে তুলোধনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দারাজ প্রশংসায় মাতলেন অধীর। করোনা মুক্ত হয়েই অষ্টম দফার ভোটে বৃহস্পতিবার নিজের খাস তালুক বহরমপুরে ভোট তদারকিতে মাঠে নামলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন, 'শীতলকুচি করে দেব', ফের কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয়বাহিনী, CRPF-র আইজিকে রিপোর্ট তলব কমিশনের
শুরুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে উৎকোচ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার একাধিক অভিযোগ করলেন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে। তিনি বলেন, শাসক দল জেতার জন্য এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরিব মানুষকে প্রলোভন দেখাচ্ছেন। বস্তি এলাকায় শাড়ি আর নগদ ২০০০ টাকা করে বিলি করছে দলের নেতারা"। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন তিনি। অধীর বলেন,'শেষ দফার ভোটে মুর্শিদাবাদে জয় নিশ্চিত করতে যত রকমের নীচতা, সঙ্কীর্ণতা, ধৃষ্টতা সম্ভব, করছে তৃণমূল। চালাকি করে যত রকম ভাবে সম্ভব মানুষকে প্রলোভন দেওয়া, ধাপ্পা দেওয়া সম্ভবস সব চেষ্টা করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থী বলছেন, 'ফ্রিজ দেব, টিভি দেব।' ভোটের জন্য মানুষকে ফ্রিজ এবং এলইডি টিভি দিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল।'
আরও পড়ুন, বেলেঘাটা কাণ্ডে রিপোর্ট তলব কমিশনের, কলকাতার একাধিক স্থানে আক্রান্ত BJP প্রার্থী
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন,'করোনা সঙ্কটে জনসভা বাতিল করার পর সম্প্রতি তিন দিন মুর্শিদাবাদে ছিলেন মমতা। সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। ওই তিন দিনে মমতা যা নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা তা-ই পালন করছেন '। অধীর আরোও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে তৃণমূল। তিন দিন ধরে এখানে থেকে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীকে নামিয়ে প্রশাসনের একটা অংশকে ঢালাও অর্থ দিয়ে ভোট লুঠ করতে বলে গিয়েছেন। সাম্প্রদায়িকতার রাস্তা তৈরি করে গিয়েছে।তৃণমূলের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ টাকার টোপ দিচ্ছেন, এ সব আর কিছুই নয় টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন অধীর। তবে বহরমপুর এর মানুষ সজাগ মানুষ তারা তৃণমূলের সকল ছলনাকে ধরে ফেলবে নিশ্চিত।' পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন অধীর বাবু কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন,'এখনও পর্যন্ত যা দেখছি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ ভোটদান কেন্দ্রের চত্বরে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। অযথা কাউকে বিনা কারণে অভিযুক্ত করার পক্ষপাতী আমি নই।'