সংক্ষিপ্ত
- দুটো পৃথক ইস্যুতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
- ভোটারকে হুমকি দেওয়া অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল
- অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডে
- পুজো ইস্যুতে সিআপপিএফ-র আইজিকে রিপোর্ট তলব
ফের কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয়বাহিনী। অষ্টম দফায় দুটো পৃথক ইস্যুতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কলকাতায় ভোটারদের' শীতলকুচি করে দেওয়ার' হুমকি দেওয়া অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং পাশাপাশি ভোট চলাকালীনই দল ধরে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার জন্য সিআরপিএফ-র আইজিকে প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট তলব করল কমিশন। যদিও হুমকি দেওয়ার ইস্যু নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কমিশন।
আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর করোনা পরীক্ষার দাবি, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
তৃণমূলের অভিযোগ, ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা এবং আরও কয়েকজন ভোট দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় দাড়িয়েছিলেন। তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে জানতে চায়, তারা কেন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ভোট দিতে যাচ্ছি বললেও মানতে চাননি নাকি জওয়ানরা বলে অভিযোগ। ওই বৃদ্ধা ভোটারকে মারধরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। যদিও বৃদ্ধা নিজে মুখে কিছু বলেছেন বলে তেমন কোনও খবর আসেনি। তবে বরাবরের মতোই ক্ষোভ উগরে তৃণমূল দাবি করেছে, আবার শীতলকুচি করে দেব বলে হুমকি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা ঘটনায় রিটারর্নিং অফিসারের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডে।
আরও পড়ুন, বেলেঘাটা কাণ্ডে রিপোর্ট তলব কমিশনের, কলকাতার একাধিক স্থানে আক্রান্ত BJP প্রার্থী
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের দিনে শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। মূলত 'কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরা'ও বলে মমতার বিরুদ্ধে আগে অভিযোগও উঠেছিল। আর তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। পরে জানা যায় কোচবিহারের শীতলকুচিতে বুথ রিগিং এর ঘটনা ঘটেছিল। কেন্দ্রীয় প্রধানত হিংসা রুখতে এবং আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছিল। তাই পরে তৃণমূলের অভিযোগ ধোপে টেকেনি। অন্তিম দফাতেও কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ভোটে জিততে মরিয়া মমতার সরকার।
অপরদিকে, ভোট চলাকালীনই দল ধরে তারাপীঠে পুজো দিলেন সিআরপিএফ-র আইজি। এরপরেই 'অষ্টম দফায় কর্তব্যরত অবস্থায় কেন মন্দিরে'- প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট তলব করল কমিশন। বীরভূমের ১১ আসনে চলছে অষ্টম দফার ভোট গ্রহণ। অনুব্রত গড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফরের আইজি এসকে মোহান্তির বিরুদ্ধে উঠল কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ।