নন্দীগ্রাম সহ পাঁচটি আসনে পুনর্গণনা অথবা ভোট খারিজের দাবিতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার যে সব আসনে কম ভোটের ব্যবধানে তারা পরাজিত হয়েছে সেই সব ক্ষেত্রে পুনর্গণনার জন্য বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ বহরমপুরে তিনি বলেন, "কোথায় কীভাবে পিটিশন জমা দেওয়া হবে তা নিয়ে আইনজীবীরা আলোচনা করছেন।" ৫০ থেকে ৫৫টি আসনে পুনর্গণনার দাবি জানাতে পারে বিজেপি। গতকাল হেস্টিংসে হওয়া সাংগঠনিক বৈঠকেও এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কালো টাকার পাহাড় সুইস ব্যাঙ্কে, ভারতীয়দের আমানত বেড়েছে ২৮৬ শতাংশ - কী বলছে অর্থ মন্ত্রক
নন্দীগ্রাম আসনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফল প্রকাশের দিন দেখা যায়, তুল্যমূল্য লড়াই হচ্ছে মমতা ও শুভেন্দুর মধ্যে। কখনও মমতা এগিয়ে যান তো কখনও শুভেন্দু। একের পর এক কেন্দ্রের ফলাফল সামনে আসতে শুরু করলেও রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রাম নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিল না। সেখানে মমতা হেরেছেন না জিতেছেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। এক সময় জানা যায় শুভেন্দুকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। ভোটের ব্যবধান ১২০০। আরও কিছুটা সময় কাটার পর জানা যায় সেই আসনে মমতা হেরে গিয়েছেন। ১৯০০-র বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন শুভেন্দু। যদিও সেই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি মমতা। এরপর হাইকোর্টের দারস্থ হন তিনি।
তারপর বলরামপুর, ময়না, গোঘাট ও বনগাঁ দক্ষিণের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। নির্বাচনে পুরুলিয়ার বলরামপুরে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন শান্তিরাম মাহাত। যদিও সেখানে বিজেপি প্রার্থী বাণেশ্বর মাহাতর কাছে ৪২৩ ভোটে হেরে যান তিনি। এত কম ব্যবধানে হারার নেপথ্যে কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দারস্থ হন তিনি। শান্তিরাম মাহাত বলেন, মামলা গ্রহণ করে নথি নষ্ট না করার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৫ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে। এছাড়া, বনগাঁ দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। গোঘাটে বিজেপি-র বিশ্বনাথ কারকের কাছে ৪ হাজার ১৪৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার। ময়নায় বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক ডিন্ডা তৃণমূলের সংগ্রামকুমার দলুইকে ১ হাজার ২৬০ ভোটে পরাজিত করেন।
আরও পড়ুন- "আঙ্কেলজি মিটস দাদু", অরুণ মিশ্রর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠককে কটাক্ষ মহুয়ার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "তিনি যেতেই পারেন। আমরাও কিছু দাবি নিয়ে আদালতে যাচ্ছি। কয়েক জায়গায় আমাদের কাউন্টিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।"