পাহাড়ে প্রচারে উত্তপ বাড়াচ্ছেন অমিত শাহ, আর সমতলে ধর্নায় তারই প্রতিপক্ষ মমতা

  • পাহড়া ভোট প্রচারে অমিত শাহ
  • গোর্খাদের উন্নয়নের আশ্বাস দিলেন তিনি 
  • বললেন গোর্খাদের দীর্ঘদিন অবিচার চলছে 
  • অন্যদিকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় মমতা 

Asianet News Bangla | Published : Apr 13, 2021 8:49 AM IST

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নির্বচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আর তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে গান্ধী মূর্তির নিচে ধর্নায় বসলেন তিনি।  নিষেধাজ্ঞআ শেষ হবে এদিন রাতে। তারপর মাত্র ২ ঘণ্টা প্রচারের জন্য সময় পাবেন তিনি। কিন্ত তারই প্রতিপক্ষ অমিত শাহ জোরদার প্রাচর শুরু করেছেন দার্জিলিং-এর পাহাড়ে। এদিন প্রচারে তিনি গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। 

দার্জিলিং-এর জনসভায় অমিত শাহ বলেন গোর্খাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। আমাদের দেশে দেশপ্রেমিক সম্প্রদায় হিসেবে গোর্খাদের নাম সবার আগে উচ্চারণ করা হয়। এঁরা একটি সাহসী, বীর ও বিশ্বাসযোগ্য জনজাতি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস কমিউনিস্টরা গোর্খাদের নিপীড়িত, অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত করে রেখেছে। অমিত শাহর কথায় গোর্খাদের প্রতি দীর্ঘ দিন ধরেই অবিচার করা হয়েছে। কথাপ্রসঙ্গে তিনি ১৯৮৬ সালে গোর্খাদের ওপর হয়ে চলা অত্যাচারের কথাও বলেন। তাঁর অভিযোগ সেই সময় পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে প্রায় ১২শ গোর্খাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দিদি ক্ষমতায় আসার পর সেই অন্যায়ের কোনও প্রতিকার করেননি। সেই সময় অনেকের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিলয বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সেই সময় অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনআরসি নিয়েও গোর্খাদের আশ্বাস দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এনআরসি হলে একজন গোর্খাকেও পাহাড় ছেড়ে যেতে হবে না। দার্জিলিং একটি সুন্দর শহর বলেও বর্ননা করেন তিনি। 

অন্যদিকে পাহাড়ে যখন অমিত শাহ রাজনৈতিক প্রচারে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন তখন সমতলে ধর্নায় বসেছেবন তৃণমূল নেত্রী। নির্বাচন কমিশন উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী প্রচারের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আর এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র দুঘণ্টা হাতে সময় পাচ্ছেন। তারই মধ্যে তিনি দুটি জনসভা করবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা গান্ধী মূর্তির নিচে অবস্থান বিক্ষোভে বসেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরবে ভোট প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ রাজ্য তো বটেই দেশের সংবাদ মাধ্যমের নজর রয়েছে তাঁরই ওপর।  
 

Share this article
click me!