'নির্বাচনে হিংসা চাই না', ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে এসে কড়া বার্তা অমিত শাহ-র

  •  প্রচারে এসে ফের ঝড় তুললেন অমিত শাহ  
  • বাংলায় খুনের আর রাজনীতি চলবে না 
  •  আমরা চাই না বাংলায় নির্বাচনী হিংসা হোক
  •  ঘাসফুল শিবিরে তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

Ritam Talukder | Published : Apr 22, 2021 11:10 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 03:43 PM IST

রাজ্য়ে ষষ্ঠ দফা ভোটের দিনেই প্রচারে এসে ফের ঝড় তুললেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য রাজ্য়ে একেই ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতি। আর একের পর এক প্রার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই ৮ দফার একুশের নির্বাচন এবার সবদিক থেকেই আলাদ। এমনই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন ঘাসফুল শিবিরে তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


এদিন হরিরামপুরে মমতাকে নিশানা করে বলেছেন, 'বাংলার তৃণমূল সরকার সর্বদা রাজবংশী সম্প্রদায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। এদিন ফের আগের মতোই শাহ বলে ওঠেন, দিদি ২ মে আপনার বিদায় নিশ্চিত। আর ওপাশে জনসভায় তখন সমর্থনের ঢেউ। এর পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, বাংলায় খুনের আর রাজনীতি চলবে না।  আমরা চাই না বাংলায় নির্বাচনী হিংসা হোক, আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই সব নির্বাচনী হিংসার অবসান ঘটাব। এখানে হবে বিকাশের রাজনীতি।' যদিও এদিনের শাহর-র কথা চতুর্থ দফায় গুলি বিদ্ধ হয়ে ১৮ বছরের আনন্দ বর্মনের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথাই মনে করিয়ে দিল বলে গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, এদিন ষষ্ঠ দফার ভোটের সকালে চোপড়া সহ একাধিক স্থানে বিজেপি কর্মী-এজেন্টদের বাধা দেওয়া ও হামলার খবর মিলেছে। প্রতিবারেই কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল। খড়দা রুইয়ার ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা, ওঠে মারধরেরও অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বন্দিপুর ১৭৬ নম্বর বুথের তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বিজেপি কর্মীকে মেরে পা ফাটিয়ে দেওয়া এবং ১৭৭ ও ১৬৩ নং বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেতুগ্রামে বুথের কাছে ব্যাপক বোমাবাজি। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।


 অপরদিকে শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন,  দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন এক্সপ্রেস জলপাইগুড়ি সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে সংযুক্ত করা শিলিগুড়িতে একটি আইটি পার্ক স্থাপন করা হবে শিলিগুড়ির জন্য। একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপন করা হবে। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পাশপাশি বাংলার নারী শিক্ষার জন্য বার্তা দিয়ে বলেছেন,' বাংলায় মেয়ে ছোট থেকে বড় হলে শিক্ষাসংক্রান্ত খরচ বৃদ্ধি পায়, কিন্তু আমি আজ আপনাদের বলব যে কন্যা সন্তান যে কোন পরিবারে হোক  বাংলার বিজেপি সরকার কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত তাদের সমস্ত শিক্ষা বিনামূল্যে দেবে।'
 

Share this article
click me!