তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়-পশ্চিম বর্ধমানঃ- ফের পোস্টার পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারীর বিরুদ্ধে। পোস্টার পড়ল জিতেন্দ্র তেওয়ারীর বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের বাসস্ট্য়ান্ড সংলগ্ন এলাকায়। তাঁকে কেউ আর চায় না বলে সেখানে সাফ জানানো হয়েছে।
দুর্গাপুরের লাউদোহার তিলাবনী জঙ্গল সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড, সরপির একটি হোটেলের দেওয়ালে ও লাউদোহার মাজিপাড়ার কাছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়লো। যেখানে পরিষ্কার ভাবে লেখা রয়েছে চোর বিধায়ককে আর চাইনা। লেখা রয়েছে বালি চোর এমএলএ আর নেই দরকার। উল্লেখ্য চলতি মাসের তিন তারিখে পাণ্ডবেশ্বর রেল স্টেশনে জিতেন্দ্র তেওয়ারীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল, তখন শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। ফের সোমবার সকালে লাউদোহার বেশ কয়েকটি জায়গায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ায় এখন উত্তেজনা খনি এলাকায়।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর দলে দলে নেতা-কর্মীরা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখায়। সেই সময় ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চিঠি লেখেন জিতেন্দ্র। এবং সেই চিঠি প্রকাশ্য়ে এসে চায়। এমন চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই ফিরহাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাতারাতি তার দল ছাড়ার ইঙ্গিতে বিজেপিতে যোগদান ঘিরে শুরু হয় চরম জল্পনা। এদিকে সেইসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জিতেন্দ্র তিওয়ারীর বিরোধিতা করে বলেন, বিজেপিতে জিতেন্দ্রর জায়গা নেই। কারণ জিতেন্দ্র আসানসোলে তৃণমূলের ক্ষমতা দেখিয়ে বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন অত্যাচার করেছেন। এহেন পরিস্থিতি দুই পারই যায় জিতেন্দ্রর। এমনই বলতে শোনা যায় যে পার্টী ছেড়ে দিয়ে তিনি কোর্টে প্র্য়াকটিস করবেন। এদিকে মমতা জেলার থেকে সভা করে ফিরলে রাতা-রাতি আবার জিতেন্দ্র মত বদলিয়ে তৃণমূলের সেবায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে পড়েন। এদিকে ফিরহাদ হাকিমের বিষয়ে মুখে কলুপ বাধেন। এরপরেই আর দিন ভাল যায়নি জিতেন্দ্রর। ভোট যত এগিয়ে আসছে দলের অন্দরেই ক্ষমতা হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ার খবর প্রকাশ্য়ে আসছে। ভোটের আগে তার উদাহরণ আবার উঠে এল।