'খেলা হবে', অনুব্রতর হুঙ্কারে জেগে উঠল শিবপুরের ১৭-র রাজনৈতিক ইতিহাস

  • 'খেলা হবে' স্লোগান শুনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
  • তবুও হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত 
  •  '২০১৭ সালে খেলা আরম্ভ করেছিলাম শিবতলার মাঠে 
  • অনুব্রতর এই মন্তব্য পিছনে লুকিয়ে কী ইতিহাস লুকিয়ে 

Asianet News Bangla | Published : Feb 25, 2021 9:23 AM IST / Updated: Feb 25 2021, 03:04 PM IST


  অনুব্রতর মুখে 'খেলা হবে' স্লোগান শুনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী নের্তৃত্বরা। এবার ব্য়াট হাতে ক্রিজে দাঁড়িয়ে,' খেলা হবে-ভয়ঙ্কর খেলা হবে', বলে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। 

আরও পড়ুন, ' গেস্টহাউজে কেন্দ্রীয় দলকে আটকে রাখা হয়েছিল', করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা নাড্ডার 

কিছুদিন আগেই বোলপুরে তৃণমূলের একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বুধবার ছিল সেই প্রতিযোগীতার ফাইনাল। এদিন বোলপুরের ডাকবাংলো পৌছন অনুব্রত। খেলা শুরু আগেই ক্রিজে ব্য়াট হাতে নেমে পড়েন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। ব্য়াট হাতেই বলে ওঠেন অনুব্রত, '২০১৭ সালে খেলা আরম্ভ করেছিলাম শিবতলার মাঠে। মনে আছে বলে ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে বলেন ৯ টার পর খেলা স্টার্ট করব। ভয়ঙ্কর খেলা। ২০১৭ সাল থেকেই এই খেলা স্টার্ট করেছি।'

আরও পড়ুন, ' গেস্টহাউজে কেন্দ্রীয় দলকে আটকে রাখা হয়েছিল', করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা নাড্ডার  

 

আসলে অনুব্রত এই মন্তব্য পিছনে লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক ইতিহাস। বামদের সময় বোলপুরে শিবপুর মৌজায় শিল্পের নামে ৩০০ একর জমি অধিগ্রহন হয়েছিল। সেই জমিতে গীতবীতান আবাসন প্রকল্প এবং বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ২০১৭ এর নভেম্বরে সভার আয়োজন করেন ক্ষুব্ধ জমিদাররা। আর সেখানে এসে যোগ দেন আব্দুল মান্নান এবং বিকাশরঞ্জনেরা। পাল্টা জমায়েত করে তৃমমূল। এরপরেই বাধে সংঘর্ষ।

 

আরও পড়ুন, 'আমি অনেক অপমানিত', রায়দিঘি থেকে আর ভোটে দাঁড়াতে চান না দেবশ্রী 

 

রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। তৃণমূল ক্রমীদের বিরুদ্ধে মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিকে তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছে বলে  পাল্টা অভিযোগ আসে। তৎকালীন ডিএসপি কাশীনাথ মিস্ত্রিকে ডেকে নিজের হাতের ঘড়ি দেখিয়ে বলেন, ' কটা বাজে ৪ টে ১৫। ৭ পর্যন্ত সময় দিলাম। ৯টার মধ্য়ে আমি ঘরে ঢুকে যাব। একজনেরও বাড়ি ঘর রাখব না।  তাণ্ডবলীলা খেলা দেব। ভয়ঙ্কর খেলে দেব। যারা মেরেছে তাঁদেরকে আগে গ্রেফতার করুন।  কোনও কাহিনী শুনব না। কে মান্নান, কে সিপিএমের নেতা জানি না। হাত পা ভেঙে দেব।'


 

Share this article
click me!