ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র। একটা সময় গোটা এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল আরাবুল ইসলাম। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল কাইজার আহমেদ। ভোট মানেই গোটা এলাকা জুড়ে তৈরি হত সন্ত্রাসের পরিবেশ। কিন্তু সেই দিন আর নেই। বর্তমান আরাবুলের ডানা ছেঁটে দিয়েছেন তৃণমূল তৃণমূল সুপ্রিমো। কিছুটা হলেও দলীয় রাজনৈতিকে কোনঠানা আরাবুলের প্রতিপক্ষ কাইজার। এই অবস্থায় ভাঙড়েই দেখা গেল সৌজন্যের রাজনীতি।
'মোদী-শাহ হত্যাকারী', শীতলকুচির ঘটনায় অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করে বলল তৃণমূল ...
ভাঙড়ে এবার ত্রিমুখী লড়াই। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রেজাউল করিম। বিজেপির প্রার্থী সৌমি হাতি আর সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌসাদ সিদ্দিকে। সিদ্দিকি সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যানও। এদিন সকালে ভোটপর্ব চলার সময় আচমকাই বিজেপি প্রার্থী সৌমি হাতির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় নৌসাদের। দুই প্রার্থী নিমেষের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে পরস্পরের দিকে সৌজন্যের হাত বাড়িয়ে দেন। দুই প্রার্থী একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। যা ভোটের বাংলায় প্রায় অমিল।
উত্তপ্ত শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের, কাল যাচ্ছেন মমতা ...
ভাঙড় কেন্দ্রটি দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকায় একচ্ছত্র রাজ করেছে আরাবুল ও কাইজার। কিন্তু তাঁরা কোনঠাসা হওয়ায় এবার তুলনামূলভাবে অনেকটাই শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হয়। তবে বিক্ষিপ্ত কিছু আশান্তির ঘটনাও সামনে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছেন নৌসাদ সিদ্দিকি। পাল্টা তৃণমূলও ভোটের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ তুলেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল ভোটার দের বুথে যেতে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে গোটা ভাঙড়েই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারী চালান হয়েছে।