দক্ষিণ কলকাতায় শুভেন্দু-দিলীপের নের্তৃত্বে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার। সোমবার টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল গেরুয়া শিবিরের মিছিল। আচমকায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকা।মিছিল লক্ষ্য করে শুরু ইটবৃষ্টি। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, 'ওয়াশিং পাউডার ভাজপা', BJP-র অন্তরালে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ মমতার
'হামলার সময় ১ জন মাত্র পুলিশ কর্মীর দেখা মিলেছে- বাকিরা ছিলেন কোথায় '
যেকোনও মিছিলের ক্ষেত্রেই পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। এবং সেই মিছিলের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে স্থানীয় পুলিশের উপরেই। তবেই সোমবার শুভেন্দু-দিলীপের রোড শোয়ে একেবারেই অন্য দৃশ্য দেখা গিয়েছে।অভিযোগ, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকা থেকে মুদিয়ালি যাওয়ার পথে আচমকাই তৃণমূল পতাকা হাতে অনেকে মিলে ইট-বৃষ্টি শুরু করে শুভেন্দু-দিলীপের হুড খোলা গাড়ি লক্ষ্য করে। এমন বহুতল বাড়ির উপর থেকে ইটের টুকরো ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগয এদিকে আচমকা ইট-বৃষ্টি হামলার সময় ধারেকাছে কোনও পুলিশ কর্মী দেখা যায় না। কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশের দেখা মেলে। কিন্তু ততক্ষণে রণক্ষেত্র তৈরি হয় গোটা এলাকা। অনেক পরে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
'আগের দলের থেকে কোনও সম্মান পাইনি আমি'
একদিকে নন্দীগ্রাম থেকে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পাশাপাশি একের পর এক তোপ দেগেছেন নাম না করেই শুভেন্দু সহ গোটা অধিকারী পরিবারকে। এদিকে মমতার গড়ে আগে থেকে ঘোষণা করা শুভেন্দুর রোড শোয়ে এই হামলার পর শুভেন্দু জানিয়েছেন,যা উত্তর দেওয়ার কালকের সভায় দেব। তিনি জানিয়েছেন, আগের দলের থেকে কোনও সম্মান পাইনি আমি। পাশপাশি তিনি নন্দীগ্রামের সভা সম্পর্কে বলেন, ৭ জেলা থেকে লোক এনে সভা করেছে তৃণমূল।'
অপরদিকে, দিলীপ ঘোষ এদিন রোডে শো থেকেই বলেন. হামলা আর মামলার রাজনীতি করছে তৃণমূল। ভবানীপুরে হেরে যাবেন বলেই মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের পার্থী হয়েছেন।