একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতেও ঘর ভাঙতে আসরে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বছর নভেম্বরে সালে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা সিরাজ খান বিজেপি ছেড়ে ঘরে ফিরলেন। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার তৃণমূল ভবনে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন সিরাজ খান। গত বছর নভেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। এদিন তৃণমূল ভবনে তাঁর যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও মন্ত্রী সোমেন মহাপাত্র। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সময় তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তৃণমূলে ফিরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিরাজ খান। তিনি বলেন, ''আমাকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। আমি বুঝতে বিজেপি দলে থেকে আমি কাজ করতে পারছি না। আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কাঁথির অধিকারী পরিবার ২০১১ সালে আমাকে বিধানসভার টিকির দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এমনটা হয়ে ওঠেনি''।
আরও পড়ুন-'ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত', সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন BJP নেতা তথাগত
অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে এদিনই দুই জেলার সাংগঠনিক পদে রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণ দিনাজপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর। এই দুই জেলার জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদে বড়সড় দরবদল করে ঘাসফুল শিবির। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান হলেন মলয় ঘটক, সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্য়ায়, জেলা মুখপাত্র অশোক রুদ্র। পাশাপাশি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের চেয়ারম্যান হলেন বিপ্লব মিত্র, জেলা সভাপতি গৌতম দাস এবং মুখপাত্র জয়ন্ত দাস।