'টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেট যাব। চেনা ফ্ল্য়াগে মাঠ সাজাবো', ভোটের আগে বিগ্রেডের প্রচারে চেনা গানের শব্দ অদলবদল করে ভাইরাল বামেদের প্য়ারোডি। গানটি শেয়ার করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এদিকে বামেদের প্য়ারোডি ভাইরাল হতে না হতেই 'টুম্পা'কে টেক্কা দিয়ে বিজেপির-'বেলা চাও' এল শিরোণামে। পিছিয়ে পড়ল মদনের কুমড়ো সঙ্গীত।
একুশের নির্বাচনের আগে অলিতে গলিতে এখন বাজিমাত করছে বামেদের টুম্পা প্যারোডি। গানটি লিখেছেন রাহুল পাল। গেয়েছেন নীলব্জ নিয়োগী। তবে এবার তাকে টেক্কা দিতে এসেছে বিজেপির-'বেলা চাও'। বিখ্যাত ইতালিয় লোক সঙ্গীতের সুরে প্যারোডি করেছে রাজ্য বিজেপি। একুশের নির্বাচনের আগে সকল রাজনৈতিক দলই সোশ্যাল মিডিয়াকে পাখির চোখ করে প্রচারে নেমেছে। সঙ্গে জুড়েছে 'পিসি যাও' গানের ভিডিও। এদিকে তৃণমূলের 'খেলা হবে' যেমন ছড়িয়ে পড়েছে। তেমনই তৃণমূলের আরেক নেতাও থেমে থাকেননি। মদন মিত্রও সম্প্রতি গেয়েছেন দলের প্রচারে কুমড়ো সঙ্গীত। বোঝাই যাচ্ছে ভোটের আগে প্য়ারোডিতে ভাসল পুরো পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুন, আজ কলকাতা সহ সারা দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, দেখুন ছবিতে-ছবিতে
গানের ভিতরে মদন মিত্র বলছেন,' কমুড়ো ফুলো ফুলো-অনেক টাকায় বিক্রি হল। সঙ্গে কিছু ঢেঁড়শ-মুলো, জিতবি বলে ভাবলি। ওয়ে লাভলি', বলে বিচিত্র শব্দে সহাস্য়ে গান ধরেছেন মদন মিত্র। স্টুডিওতে গিয়ে দিব্য়ি গান রেকর্ড করেছেন। এখানেই শেষ নয় বাংলার এক বাঁশি শিল্পী এই গানে যন্ত্রসঙ্গীতে রয়েছেন। মূলত কাকদ্বীপের বাসিন্দা তিনি। উল্টোডাঙা স্টেশনের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন গুজরান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সটান মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকারের সংষ্কৃতি কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই গান এখন ভাইরাল। মদন মিত্র সাফ জানিয়েছেন পচা কুমড়ো, ঢ্য়াড়শ দিয়ে যে ঘ্যাট রান্না করছে বিজেপি, তা মানুষ মুখেও নেবে না। তবে শুধু মদন মিত্রই নন, ভোটের আগে অভিনব প্রচারে ময়দানে নেমেছেন আরও অনেকেই। বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় যেমন একটি সভায় সম্প্রতি মহম্মদ রফি সাহেবের গান গেয়েছেন। ভোটের আগে সবাই সবাইকে টেক্কা দিতে মেতেছেন প্য়ারোডিতে।