কয়লাপাচারকাণ্ডে এবার আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করল সিবিআই। ৪ মে মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিয়ে জ্ঞানবন্তকে তলব করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন, 'অক্সিজেন জমিয়ে রাখার অভিযোগ', দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়ে মে দিবসে মুখ খুললেন কৌস্তভ
রাজ্য়ে একুশের নির্বাচন শুরু হতেই কয়লাকাণ্ড-গরুপাচার সহ একাধিক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। ভোটের মাঝেই চলেছে কয়লাকাণ্ডে একাধিক আইপিএস অফিসারকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার কয়লাপাচারকাণ্ডে এবার আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করল সিবিআই। কয়লা কেলেঙ্কারির যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতেই এই তলব। যদিও আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে সিবিআই তলব নিয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন, নবাব নগরীকে ঘিরে জমে উঠেছে পাটিগণিতের হিসেব-নিকেশ, কে হবে মুর্শিদাবাদের মুখ
কয়লাকাণ্ডে কম জল ঘোলা হয়নি। কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। সেই লালাকে নিয়েও রীতিমত বেগ পেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কারণ গ্রেফতার করতে চাইলেও ছিল না উপায়। লালার রক্ষাকবচ হয়ে একমাত্র দাঁড়িয়েছিল কোর্ট। ল্লেখ্য, খাদান থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে পাচারের অভিযোগ লালার বিরুদ্ধে। এই কাজে লালাকে সাহায্য করেছে ইসিএল, নিরাপ্ততা সংস্থা সিআইএসএফ, রেলের উচ্চপদস্থ কর্মীচারীরাও। তার এই কর্মকাণ্ডে রাজ্য়ের একাধিক প্রভাবশালী ব্য়াক্তিরও যোগ রয়েছে। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকা তাঁদের কাছে পৌছে দিতেন লালাই।
পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বিনয় মিশ্র এবং ভাই বিকাশেরও। ইতিমধ্যে বিকাশকে গ্রেফতারও করেছে ইডি। তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের মূল চক্রী লালার ব্যাবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রভাবশালীদের পিছনেই ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের শিকড়ে পৌছতে এই ঘটনায় জড়িত ব্য়ক্তিদের একটা তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই এগোচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।