করোনায় দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েও হৃদয়স্পর্শী ফেসবুক স্ট্য়াটাস 'কমরেড' কৌস্তভ চট্টোপাধ্য়ায়ের। এদিকে রাত পেরোলেই একুশের নির্বাচনের গণনা শুরু। আর এবার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গণনাকেন্দ্রে থাকতে পারবেন না বলে দুঃখ্যপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে অক্সিজেন জমিয়ে রাখা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় শেষ অবধি মুখ খুললেন কৌস্তভ।
আরও পড়ুন, কোভিডে আরও মৃত্যু কলকাতায়, বাড়ল চুল্লি, বাড়িতেই ডেথ সার্টিফিকেট পৌছবে পুরসভা
মে দিবসে কৌস্তভ চট্টোপাধ্য়ায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়েছেন, আমি দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত। বিগত তিনদিন। উপসর্গগুলো প্রায় সবই ছিল বা আছে। অনেকের ফোন, মেসেঞ্জার, ওয়াটসাপের উত্তর দিতে পারিনি। আমাদের পার্টিতে একটা সুবিধে আছে। ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ,অপরিহার্য নয়। একজন কেউ অসুস্থ হলেও বাকিরা সামলে দেন। বেহালা পশ্চিমের বহু রেড ভলান্টিয়ার অসাধারণ ভুমিকা নিচ্ছে।' এরপরেই সেই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে কৌস্তভ জানিয়েছেন,' অক্সিজেন ব্যবসায়ী ভেবে আমাকে ও আমার কমরেডদের অনেকেই ফোন করছে। কাল একজন অসহায় মানুষ বলেই ফেললেন আপনি কি অক্সিজেন জমিয়ে রাখছেন। না রাগ করিনি। মানুষের হাহাকার দেখে কষ্ট দেখে বারংবার একটা কথাই মনে হচ্ছে, কতটা অসহায় মানুষ।' তিনি আরও জানিয়েছেন, বিধানসভা কেন্দ্রেও গননার কাজ প্রায় ১০০ জনকে রেডি করা হয়েছে।এই কাজেও থাকতে পারলাম না বা গণনাতেও থাকতে পারবো না।এখনো আমি সুস্থ নই।' তাই ফোন না করে মেসেজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন কৌস্তভ চট্টোপাধ্য়ায়। এদিকে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে অন্য 'কমরেডরা'ও করোনায় আক্রান্ত। মে দিবসে সকলের জন্যই আরোগ্য কামনা করে বলেছেন, আজ মে দিন, লড়াই আন্দোলন সংগ্রামের শুভেচ্ছা সকলকে।'
আরও পড়ুন, যাদবপুরের ল্যাবের সিলিন্ডারেই হবে কোভিড রোগীর চিকিৎসা, সেফ হোমেরও প্রস্তাব ক্যাম্পাসে
রাজ্যের ভয়াবহ করোনায় শিকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক একাধিক ব্য়াক্তিত্ব। দেশ তথা রাজ্য জুড়ে একাধিক প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একুশের রাজ্যের নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী প্রাণও হারিয়েছেন। তার মধ্য়ে জঙ্গিপুর-সামসেরগঞ্জের ২ প্রার্থীও রয়েছেন। বাদ যায়নি খড়দাও। করোনা আক্রান্ত হয়ে ছেলেকে হারিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কামারহাটি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র , যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীও।
আরও পড়ুন, যাদবপুর স্টেডিয়ামে কোভিড হাসপাতাল, বেসরকারির সঙ্গে যৌথ উদ্য়োগে বড় পদক্ষেপ রাজ্য়ের