ছত্রধরকে এনআইএ গ্রেফতার করার পর অভিযোগ তুলল মাহাতো পরিবার ও আইনজীবি। রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ লালগড়ের বাড়ি থেকে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় এনআইএ। ছত্রধর মাহাতো স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর অভিযোগ, কোনও গ্রেফতার ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি।
আরও পড়ুন, দোল উৎসবে মাতলেন, সঙ্গে প্রচারটাও সারলেন সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা, দেখুন ছবিতে-ছবিতে
এদিকে শনিবার প্রথম দফার ভোটের দিনেও অসুস্থ হয়েছিলেন মা। হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা রাতটা কাটছিল। তারপরে আচমকা মাঝরাতে একসঙ্গে ৪০ এনআইএ আধিকারের হানা পড়ে ছত্রধরের বাড়িতে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের লোককে জানিয়েছে এনআইএ আধিকারিকরা। এরপর ছত্রধরকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছত্রধর মাহাতো স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর অভিযোগ, কোনও গ্রেফতার ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। দরজা ভেঙে পুলিশের পোশাকে কিছু লোক জোর করে ঘরে ঢোকে। ছত্রধরের গ্রেফতারি নিয়ে লালগড় থানাও কিছু জানেনা। অপরদিকে ছত্রধরের আইনজীবি জানিয়েছেন, ছত্রধরের বিরুদ্ধে এনআইএ কোনও মামলা নেই। গ্রেফতারির কেস নম্বরও জানানো হয়নি। ২৫ তারিখ আধালতের নির্দেশ মতো পরদিন হাজিরাও দেন। এরপরেও কেন এই গ্রেফতার বোঝা যাচ্ছে না। নিয়তি মাহাতো বলেছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা অন্ধকারেই রয়েছি। উনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কীসের জন্য এসেছেন। ওরা বলে বাইরে চলুন। আপনার সঙ্গে কথা রয়েছে। এখানে বলা যাবে না। এর মধ্যেই ওকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর গাড়িতে তোলে।
আরও পড়ুন, রাজ্য়ে এক ঝটকায় করোনা সংক্রমণ পার করল ৮০০, দোলে শিকেয় উঠবে না তো সামাজিক দূরত্ব
উল্লেখ্য, প্রায় দশ বছর আগে জঙ্গলমহলে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন এবং জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৎকালীন জনসাধারণ কমিটিন নেতা ছত্রধর মাহাতো। তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই সম্প্রতি তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এনআইএ ঘটনার তদন্তভার পাওয়ার পর সম্প্রতি তা নিয়ে অতি সক্রিয় হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ছত্রধরকে ডেকে জেরা করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। এদিকে ইতিমধ্য়েই দশ বছর জেলে কাটিয়ে পর কেন এনআইএ এই কেসের তদন্তে নামল, এতদিন কী ঘুমিয়ে ছিল তাহলে, সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগোড়য় দাঁড় করিয়েছিলেন ছত্রধর। তবে শেষ অবধি লালগড়ে ভোট মিটতেই ছত্রধরকে গ্রেফতার করল এআইএ।