সোমবার নন্দীগ্রামে প্রচারে এসে ফের বিজেপিকে মমতা। তবে তখন বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা স্তরের সকল সাধারণ কর্মীরও শোকস্তব্ধ নিমতাকাণ্ডে আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যুতে। সেইসময় বেলা গড়াতেই হুইল চেয়ারে বসেই প্রায় ৮ কিমি পথ রোড শোয়ে পাড়ি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন, দীর্ঘ ১ মাসের যুদ্ধ শেষ , নিমতাকাণ্ডে আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল
এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শুরুর দিকে স্লোগান বলেছেন,হরে কৃষ্ণ হরে হরে-তৃণমূল ঘরে ঘরে। 'পুনর্মূষিক ভব'-অতি লোভে তাঁতি নষ্ট-নীতি কথা ইশপের গল্পও শোনান নন্দীগ্রামবাসীকে। তিনি আরও বলেছেন, ভোটে দিতে গিয়ে একটুকুও ভয় পাবেন না। ফলস বন্দুক কিনেছে ওরা। মুঙ্গের থেকে এনেছে। কী মা-বোনেরা গুন্ডারা এলে হাত-খুন্তি-দিয়ে একটু আদর করে দেওয়া হবে-একটা করে খুন্তির বাড়িতে গালটা লাল টকটকে হয়ে যাবে।'এরপরেই ফের আসে প্রতিদিনের মতোই ইস্তেহার প্রসঙ্গ। কী কী করে দেবেন তৃণমূল ক্ষমতায় আবার এলে নন্দীগ্রামে, আবারও বলতে শুরু করেন মমতা। তবে এদিন আচমকাই হঠাৎ বলা শুরু করেন, 'যদি কেউ বলে দিতে পারেন কোন গুন্ডারা বাংলায় আঘাত হানছে, তাঁদের আমি নামের লিস্ট দিয়ে পুরষ্কৃত করব'।
আরও পড়ুন, 'আমাকে চাইলে সোহম-অদিতি ভূলে যান', শেষবেলায় প্রার্থীদের উপর ভরসা হারালেন কি 'দিদি'
এদিকে একই কথা বুমেরাং হয়ে ফিরবে না তৃণমূল সরকারের দিকেই, এমনই চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। কারণ নিমতায় আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির বাহিনী'-র দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিমতা বাসিন্দা গোপাল মজুমদার ও তার ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা শুভ্রা মজুমদারকে মারধর করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর আহত গোপালের মা শুভ্রা মজুমদারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাসখানেক হাসপাতালে থাকার পর বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার সকালে শুভ্রা মজুমদারের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে মৃতের পরিবার। এদিকে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি।