শীতলকুচিকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের জনসভায় কালো পোশাকে মমতা। এদিন শিলিগুড়ির সাংবাদিক সম্মেলন, জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা-রাজগঞ্জ প্রতিটি জনসভাতেই এদিন কমিশনকে নিশানা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটের সকালেই রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এদের মধ্য়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে তাঁদের মধ্য়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর রবিবার সেখানে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় যেতে পারছেন না মমতা। এদিকে শীতলকুচি কাণ্ডের পর শনিবারই শিলিগুড়ি পাড়ি দেন মমতা। তারপর এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত নাগরাকাটা এবং রাজগঞ্জের জনসভায় আসেন মমতা। এদিন তিনি বলেছেন, আমি ১৩ তারিখ আবার উত্তরবঙ্গ আসব। শীতলকুচি যাব। মৃতের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি দেখা করব আমি। মৃত পরিবারের মধ্য়ে কারও স্ত্রী গর্ভবতী, কারও আবার তিন বছরের বাচ্চা আছে। ওরা সবাই সাধারণ মানুষ। ভোট দিতে এসেছিল আর বাহিনী ওদেরকে নির্বিচারে গুলি করল। গুলি এবং মানুষ খুনের তথ্য লোকাতেই এই সব আইন।'
আরও পড়ুন, 'সমস্যা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নয়-আপনার হিংসার রাজনীতিতে', কৃষ্ণনগরে মোদীর নিশানায় মমতা
অপরদিকে, মমতা কেন্দ্রীবাহিনীকে নিশানা করে বলেছেন, 'যত লোক গুলি করেছে, যতগুলো গুলি করেছে, সব কিন্তু বুকের উপরে করেছে। ওরা গুলি স্প্রে করেছে। গণতন্ত্রের হত্যা মানব না।' এরপরেই কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় শীতলকুচি সশরীরে যাওয়া না পর্যন্ত মৃতের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
আরও দেখুন, Election Live Update-'শীতলকুচিতে যেতে না দিলে ভিডিও কলে কথা বলব'-কমিশনকে চ্যালেঞ্জ মমতার