নদিয়া জেলার অন্তর্গত রাণাঘাট উত্তর পশ্চিমের জনসভায় ফের বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মোদীর সভার দিনেই এদিন মমতা পাল্টা সভা করে এনপিএনআর-এনআরসি ইস্যুর পাশাপাশি শীতলকুচিও তুলে এনেছেন মমতা। ওদিকে ' তপশীলী জাতিকে অপমান করে তৃণমূল', এ প্রসঙ্গ মোদী বলতেই এদিন সভা বসেই তপশীলী জাতির জন্য় কীকী করেছেন বলে ভোট জয়ের মরিয়া চেষ্টা করেন মমতা।
আরও পড়ুন, বারাসাতে মমতার সভা বাতিল করল কমিশন, ওদিকে শীতলকুচিকাণ্ডের পর আজ রাজ্যে শাহ-মোদী
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, 'বাংলার সকল উদ্বাস্তু কলোনীকে আমরা আইনত স্বীকৃত দিয়ে দিয়েছি। বাঙালিদের উপর অনেক অত্য়াচার হয়েছে। আসামেও বাঙালিদের উপর অত্যাচার করে ১৪ লক্ষ লোক জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। যাদের ভোটার তালিকায় নাম নেই। এই জন্যই এনপিআর-এনআরসি আমি বাংলায় ঢুকতে দিইনি। আমি রয়াল বেঙ্গল টাইগার, আপনাদের সঙ্গে অন্যায় হতে দেব না', বলেই শীতলকুচি কাণ্ডে ফিরে যান মমতা। এদিন ফের শীতলকুচি কাণ্ডে মমতা জানালেন, 'কীকরে ওই মানুষগুলি গুলিতে প্রাণ হারাল। গুলিবর্ষণের আগে ও পরে কী হয়েছিল আমি সব জেনে ছাড়ব। আমি তদন্ত বসাবো। ঠিক তুলে আনব আসল ঘটনা। ' এদিন মমতা আরও বলেন, 'বাচ্চা জন্মালেই সবুশ্রী গাছের চারা। বাচ্চার ১৮ বছর বয়েস হলে গাছটিরও ১৮ বছর বয়েস হবে। গাছ বিক্রি করলেই মিলবে ৩-৪ লাখ টাকা। মারা গেলেও পাবেন ২০০০ টাকা। বাকী নেই, সব কিছু করেছি' বলে জানিয়েছেন এদিন দিদি।
প্রসঙ্গত, সাতসকালেই মমতাকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' শীতলকুচিকাণ্ডে 'সম্পূর্ণ দায়ী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, মানুষকে তিনি উত্তেজিত করেছেন', এদিন ফের বললেন দিলীপ। তিনি আরও বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন কিছু আশা করা যায় না। উনি আগেও মানুষকে উত্তেজিত করেছেন। এই দায় সম্পূর্ণ ওনার। উনি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি।' তবে শুধু দিলীপ ঘোষও নয়, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহও একই কথা বলেছেন মমতার বিরুদ্ধে। নাম না করে মমতাকে তোপ দাগতে থামেননি রাজ্যপালও। আর এদিন শীতলকুচি ইস্যু দিয়ে ভোটে জিততে মরিয়া মমতার সরকার, এমনই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।