মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গ তুলে রীতিমত কটাক্ষ করেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। রায়গঞ্জে ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা যদি তাঁদের হাতে থাকত তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে এতদিন ধরে হুইলচেয়ারে ঘুরে বেড়াতে হত না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র দুদিনের মধ্যেই হাঁটাতে পারতেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে হেমতাবাদ শালবাগান মাঠে এক নির্বাচনী সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীর হুইল চেয়ারের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকেই কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, , " কয়েক দিন আগেই নন্দীগ্রামে ভোট হলো। আমরা দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী হুইল চেয়ারে একটি বুথেই দীর্ঘক্ষন বসে থাকলেন।তাঁর হুইল চেয়ারে বসা নিয়ে আমি কটাক্ষ করছি না।আমি তো আর দেখিনি তাঁর পায়ে কি হয়েছে। তবে নিজে চিকিৎসক হিসেবে এটুকু বলতে পারি, চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে দুইদিনের মধ্যে আমরা হাটাতে পারতাম যদি চিকিৎসা পরিষেবা আমাদের হাতে থাকতো।আমি বুক ঠুকে বলছি, দুই দিনের ভেতরেই আপনাকে আমরা হাটাতে পারতাম। তার পরেই তিনি বলেন, 'এর আগেও আমরা অনেক মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন লড়তে দেখেছি।কিন্তু আপনার মতো হুইল চেয়ারে কেউ একটা বুথে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে নি।'
একদা সিপিএম গড় ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা, এখন কতটা এগোতে পারে বিজেপি ...
প্রধানমন্ত্রীর বাচনভঙ্গিতে মেয়েদের অসম্মান, তৃণমূল ভবনে মুখর শশী-জুন-অনন্যা ...
বাম জমানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন বিধানসভার বিরোধী নেতা। পরের ভোটে নারায়ণগড় থেকে হেরে যান তিনি। তারপরেই সংসদীয় রাজনীতিতে আর আসেননি। তবে গুটিকেয়ক বামপন্থী নেতাদের মধ্য সূর্যকান্ত মিশ্রের নাম আসে। কারণ তিনি সাংসদীয় রাজনীতির পাশাপাশি রাজ্যের সাংসগঠনিক শীর্ষ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে সূর্যকান্ত মিশ্র সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক। পলিট ব্যুরোর সদস্য তিনি।