'২৫ বছরের মধ্যে বাংলার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি', ব্রিগেডের জনসভা থেকে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী

 

  • ব্রিগেডের জনসভা থেকে বাংলাকে সেরা করার আহ্বান 
  • ২৫ বছরের মধ্যে বাংলার উন্নয়ন জরুরি 
  • বাম কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদীর 
  • উন্নয়নের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী 
     

Saborni Mitra | Published : Mar 7, 2021 10:15 AM IST

ব্রিগেডের জনসভা থেকে আবারও বাংলার উন্নয়নের বার্তা দিনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তিনি এদিন বাম ও কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলে, আর মাত্র ২৫ বছর পর দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। আর তার জন্যই এখন থেকে বাংলার উন্নয়ন খুবই জরুরি। কারণ ভারত যখন স্বাধীনতার শততম বর্ষ উদযাপন করবে তখন আবারও বাংলা দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর সেই কারণে এই ভোটটে শুধু বিধানসভা নির্বাচন হিসেবে দেখতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিধানসভা নির্বাচনকে তিনি দেশ ও বাংলার উন্নয়নের আধার হিসেবে দেখছেন বলেও জানিছেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন বিদেপ ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা তৈরির স্বপ্ন পুরণ হবে। বাংলা উন্নয়নের আশ্বাস ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দিতে আর সংস্কৃতি রক্ষা পরিবর্তন আনতে তিনি ব্রিগেডে এসেছেন বলেও দিপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন একদিকে রয়েছে তৃণমূলস বাম কংগ্রেস। আর অন্যদিকে রয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূলে বঙ্গ-বিরোধী মানসিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন অন্য দিকে রয়েছে বাংলা মানুষ। বাংলার জনগণের পাশে বিজেপি রয়েছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। 

ব্রিগেডের মেগা ইভেন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন,  স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্র ধরেই ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। দেশের মসনদে বসার পর কিছুদিন তারা কাজ করেছিলেন উন্নয়নের জন্য। কিন্তু তারপর থেকেই কংগ্রেস রাজনীতি করতে শুরু করে।  আর এই রাজ্যে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে ক্ষমতায় এসেছিল বামেরা। সেই সময় তারা কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও বলে স্লোগান তুলেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বামেরা এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে। আর এখন অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই বাম কংগ্রেস যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। 

Share this article
click me!