দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিতেই গেরুয়া শিবির ঘিরে নয়া জল্পনা। এদিন আচমকাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল সাংসদ।রাজ্যসভার সভাকক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে একথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরেই একেই পর আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোকে করলেন দিলীপ, কৈলাশেরা।
আরও পড়ুন, রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী, দলবদলের ইঙ্গিতে জোর জল্পনা
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোকে তোপ দেগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, 'মমতার ব্যালেন্স নেই। এরপর দর্শকের ভূমিকাতেই থাকতে হবে মমতাকে। পাশপাশি, দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে এলে আগাম স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপ। এদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও তৃণমূলের বড় ভাঙনের দিনে মমতাকে নিশানা করে বলেছেন, 'আত্মসম্মান নিয়ে কেউ থাকতে পারবে না তৃণমূলে।' অপরদিকে বাদ যাননি অর্জুনও। তিনি অবশ্য মোলায়েম সুরে বলেছেন,' দীনেশ ত্রিবেদী আমার দাদার মত।' এদিকে দল এবং পদ থেকে ইস্ফতার দেওয়ার আগের দিনই দীনেশ ত্রিবেদী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর টুইট নিয়ে প্রশংসাও করেন। তবে কি শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যাচ্ছেন দীনেশ, প্রশ্নের বন্য়া রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে এহেন আচমকা ইস্তফায় খানিকটা ক্ষুব্ধ সৌগতও। যদিও এখনও অবধি বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে কিছুই বলেননি দীনেশ ত্রিবেদী।
প্রসঙ্গত, হেভিওয়েট প্রসঙ্গে মুকুল রায় দিয়ে শুরু হলেও শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই যে তৃণমূলের বড় ভাঙন শুরু হয়েছে, এনিয়ে এখনও সম মত রাজনৈতিক মহলের। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পরেই রাতারাতি দলে দলে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক ওঠে। সদলবলে গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান সকলে। এদিকে দোরগড়ায় ভোট। নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে দীনেশ ত্রিবেদী যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে ভরাডুবির আরও কাছে গিয়ে পৌছবে ঘাসফুল শিবির, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।