'বোমা-বন্দুক-টিএমসির ঝান্ডা নিয়ে আক্রমণ', কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন, শুনুন দিলীপ ঘোষের মুখে

  • ভোটের মরসুমে দিলীপ ঘোষের উপর হামলা
  • কোচবিহারের শীতলকুচিতে আক্রমণ করা হয়
  • হামলার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের উপর
  • ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দীলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
     

Sudip Paul | Published : Apr 7, 2021 3:39 PM IST / Updated: Aug 27 2021, 03:03 PM IST

নির্বাচনী প্রচারে কোচবিহারে গিয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কোচবিহারের শীতলকুচিতে সভা ছিল দিলীপ ঘোষের। সভার প্রথম থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল বলে জাননা গিয়েছে। সভা চলাকালীনও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সভা শেষে দিলীপ ঘোষের গাড়ির উপর হামলা করে দুষ্কৃতীকারীরা। ব্যাপক বাঙচুর করা হয় দিলীপ ঘোষের গাড়ি। আহত হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

ঘটনার বিবরণ দিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন দিলীপ ঘোষ। ভয়হ্কর পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরলেন সেই কথা ভিডিওতে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, মাঠের মাঝখানে আমার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার সময় আচমকাই তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। গাড়ির উপর লাঠি, বোম, বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় তারা। ইট ছুঁড়ে মারা হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। আমিও আহত হই। এমন আক্রমণ আগে দেখিনি। এ তো তালিবানি রাজ্য চলছে। এভাবে চললে কীভাবে নির্বাচন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

হামলা হওয়ার পর নিরাপদ স্থাননে গিয়ে গাড়ির ছবি ও নিজের আহত হওয়ার ছবি ট্যুইট করেছেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে মন্তব্য করেছেন,'পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের অবস্থা করুণ। পতাকা নিয়ে টিএমসির গুন্ডারা আমার গাড়িতে হামলা চালায়।  বোমা নিক্ষেপ করেছে এবং আমার গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। তারা বিজেপির একাধিক স্থানীয় কার্যকর্তাদের উপরও আক্রমণ করেছিল এবং একাধিক গাড়ি ভাঙচুরও করেছে।' ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন দিলীপ ঘোষ।

 

আরও পড়ুনঃ'উনি এখন বসে আছেন দিদি কখন প্রধানমন্ত্রী হবেন',ঘাটাল ইস্যুতে দেবকে খোঁচা দিলীপের

আরও পড়ুনঃস্পিকারকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জের, বিধানসভায় তলব শুভেন্দু অধিকারীকে

আরও পড়ুনঃPost Poll Violence: আজ নদিয়ায় নিহত BJP কর্মীর বাড়িতে CBI, কাদের নাম ফাঁস করল পরিবার

রাজ্যে তিন দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ১০ তারিখ চতুর্থ দফার নির্বাচন। প্রতি দফার নির্বাচনেই হিংসা দেখেছে রাজ্যবাসী। কিন্তি বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির উপর এমন হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত সকলেই। নির্বাচন কমিশন ও পুলিসি নিরাপত্তার পরও এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দিলীপ ঘোষের উপর এহেন আক্রমণের পর আদৌ এরপর ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
 

Share this article
click me!