আক্রান্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
শীতলকুচির সভা থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়িতে হামলা
মমতার সভা থেকে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীরাই হামলা চালায়
মমতার উসকানিতেই এই হামলা বলে অভিযোগ দিলীপের
ফের প্রশ্নের মুখে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র। বস্তুত গণতন্ত্র বলে কিছু আছে কি নেই, সেই প্রশ্নই উঠছে। শীতলকুচিতে প্রচার সভা করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে ফেরার পথে একেবারে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে দিলীপ ঘোষের।
এদিন শীতলকুচিতে কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষের। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা শীতলকুচি কলেজের মাঠে বিজেপি সমর্থকদের উসকানি দিয়েছিল। ফলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। শুরু হয় ঢিল ছোড়াছুড়িও। এরপরই রাস্তার দুইপাশে জড়ো হয়ে যান তৃণমূল সমর্থকরা। দিলীপ ঘোষের সভামঞ্চ পড়ে যায় মাঝখানে। সেইসময়, প্রাণভয়ে সেখানে দিলীপ ঘোষকে রেখে সাংবাদিক ও বিজেপি কর্মীরা গিয়ে পাশের একটি বাড়ির ছাদের নিচে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় দিলীপ ঘোষের কনভয়ে থাকা ১০-১২টি গাড়িতে। তাঁর মাথাতেও ইটের আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ।
এরপর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব়্যাফ নামানো হয়। তারাই ওই এলাকা থেকে দুপক্ষের সমর্থকদের সরিয়ে দেয়। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই দলেরই বহু সমর্থক। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যমও। সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাংচুর চালিয়েছে উন্মত্ত তৃণমূল সমর্থকরা।
গাড়ির কাচ ভাঙার পরও, সেই গাড়ি নিয়েই কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান তিনি। তবে গাড়ির সামনের আসনে বসেও বাইক আরোহীদের মতো তাঁকে হেলমেট পরতে দেখা গিয়েছে। ভোট-বঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমনই বেহাল দশা।
এই ঘটনার জন্য দিলীপ ঘোষ সরাসরি আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। তাঁর অভিযোগ, মমতা সভা থেকে উসকানি দেওয়ার ফলেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর এবং তাঁর কনভয়ে হামলা চালিয়েছে।