রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সংঘাত অব্যাহত। একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লিখেছেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন মমতাও। এরই মধ্যে সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করেছিলেন তিনি। আর সেই ছবি নিয়েই এবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালকে রীতিনীতির পাঠ শেখালেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'রাজ্যপাল ফোবিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূলের', ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের একাধিক বিজেপি বিধায়ক। আর ঠিক তারপর দিনই অর্থাৎ ১৫ জুন দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ১৭ জুন সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই সফরেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নোট জমা দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করা হয়েছিল টুইটারে। আর তা নিয়েই এবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ।
ছবিতে দেখা গিয়েছে, সোফার উপর বসে রাষ্ট্রপতির দিকে পা তুলে রয়েছেন রাজ্যপাল। এর প্রেক্ষিতে টুইটারে কুণাল লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে 'সপরিবার' আলোচনা !! নেমতন্ন নাকি? তাও আবার মহামহিমের দিকে পা তুলে? শ্রদ্ধা, সম্মানের ঐতিহ্য, রীতিনীতিটা অন্তত মনে রাখুন।"
রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে আগেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। রাজ্যপালকে দিল্লি থেকে না ফেরার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে দিল্লি সফরে শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দু'দফায় বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। এছাড়াও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ মিশ্র ও কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য়, সোমবার মামলার শুনানি
সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে অমিত শাহ ও রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী, রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়া যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি অনুরোধও করেছেন। যদিও টুইটারে এই সাক্ষাৎকে নেহাত 'সৌজন্যমূলক' বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল।