নেতাজির জন্মদিনে জয় শ্রীরাম স্লোগান কাণ্ডে হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর টুইট নিয়ে একহাত নিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশপাশি তিনি বললেন,'প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল প্রটোকল অনুযায়ী, সবাইকে এখানে প্রবেশ করানো।' দুর্গাপুর ব্রিজ মেরামতের জন্য বন্ধ থাকা নিয়েও কথা বলতে গিয়ে ভিক্টোরিয়ার প্রসঙ্গ তোলেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন, 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান কাণ্ডে মমতাকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ অনিল ভিজ-র
হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনিল ভিজকে কড়া জবাব ফিরহাদের
মমতাকে টুইটে আক্রমণ করেন হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর। ভিক্টোরিয়ায় 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান শুনেই ক্ষোভের চোটে নেতাজি জন্মদিনে কোনও বক্তব্যই রাখেননি মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সাফ জানালেন, আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা যায় না। প্রতিবাদ জানিয়ে 'জয়হিন্দ' বলে সিটে বসে যান মমতা। এদিকে মমতার উঠে যাওয়াকে কেন্দ্র ব্যপক হইচই রাজ্য-রাজনীতিতে। আর এই ঘটনায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছেন 'মমতাকে জয় শ্রীরাম বলা মানে ষাড়কে লাল কাপড় দেখানো।'এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানান,'নোংরা এদের রাজনীতি। এরা বর্বর। এরা কি বলছে, এরা নিজেরাও জানেনা। এর উত্তরে বলা যায়, দেখো দিবানো অ্যায়সা কাম না কারো রামকে নাম বাদনাম না কারো।'
'এরা কারা, একদিকে লাল চুল, একদিকে নীল চুল, তারাই প্রোগ্রামের গরিমা নষ্ট করেছে'
ফিরহাদ আরও বলেন, 'এটা তো ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী যদি কোথাও আসেন, তাকে জয় শ্রীরাম বলে যদি বলা হয়, তাহলে কি তাকে সম্মান করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন করেন ফিরহাদ। 'আসলে শ্রীরামকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নিচে নামানো হচ্ছে' বলে পাল্টা আক্রমণ করেন তিনি। এই প্রোগ্রামের যে গরিমা সেটাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এবং প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল প্রটোকল অনুযায়ী, সবাইকে এখানে প্রবেশ করানো। যারা সংস্কৃতির ব্যাপারে বোঝে-জানে তাদের এই প্রোগ্রামে প্রবেশ করানো উচিত ছিল। এরা কারা, একদিকে লাল চুল, একদিকে নিল চুল, তারাই প্রোগ্রামের গরিমা নষ্ট করেছে।
দুর্গাপুর ব্রিজ প্রসঙ্গে কী বললেন ফিরহাদ
অপরদিকে, দুর্গাপুর ব্রিজ মেরামতের জন্য বন্ধ থাকা নিয়ে ববি হাকিম বললেন,' আমাদের যেহেতু মাজেরহাট ব্রিজের দু'বছর ধরে কাজ হচ্ছিল। সেই কারণে পুরো চাপটাই পড়েছিল দুর্গাপুর ব্রিজের ওপর। অর্থাৎ আমাদের মালবাহী গাড়ি গুলো বেহালায় যেতে গেলে এই ব্রিজের উপর দিয়ে গেছে। এবং এমনি গাড়ি তো গেছেই তার মানে এমনি সময় থেকে সিক্স টাইম বেশি লোক বেশি পড়েছে। ব্রিজের উপর কিন্তু আমরা সেই সময় ভিজুয়াল দেখছিলাম আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা সবসময় ভিসুয়ালি দেখছিলেন যে ব্রিজের কোথাও ফাটল ধরেছে কিনা কোথাও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিনা। আর যেহেতু এখন মাজেরহাট ব্রিজ খুলে গেছে। সেই কারণে এই ব্রিজের সব রকম টেস্ট হবে বিশেষজ্ঞ টিম এই ব্রিজের টেস্ট করছে। তাই কয়েকদিন ব্রিজ বন্ধ থাকবে এটা আমরা পুরোটাই সেফটি সিকিউরিটির জন্য করেছি দু-তিন দিনের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।'